নিউজ ডেস্ক:-কানাডায় গত ৫ দিন ধরে বয়ে যাওয়া দাবদাহে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রায় বিপর্যয় নেমে এসেছে কানাডীয়দের জীবনযাত্রায়। খবর আলজাজিরার। এমন ভয়ংকর তাপমাত্রা আগে কখনোই দেখেননি দেশটির অধিবাসীরা। ব্রিটিশ কলম্বিয়া (বিসি) প্রদেশের চিফ করোনার লিসা লাপয়েন্তে বুধবার বিকালে জানিয়েছেন, তারা শুক্রবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত অন্তত ৪৮৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছেন। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি।
লাপয়েন্তে বলেন, গত পাঁচ দিনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় অভূতপূর্ব মৃত্যু দেখা গেছে। এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এদের মধ্যে তাপ সহ্য করতে না পারে কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এটি বিশ্বাসযোগ্য যে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেই মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াসহ পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এর জন্য তথাকথিত ‘হিট ডোম’কে (উষ্ণ বাতাসে আবদ্ধ আবহাওয়া) দায়ী করা হচ্ছে। তবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এটি ঘটছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। মঙ্গলবার কানাডায় টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশটির সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সেদিন ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লাইটন এলাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কানাডীয়রা আগে কখনোই দেখেননি। মেট্রো ভ্যানকুভার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছে, তারা শুক্রবার থেকে ৬৫টির বেশি আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। একইভাবে বার্নাবে এবং সারে পুলিশও বলেছে, তারা কয়েক ডজন আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রবীণ বলে জানা জানিয়েছেন তারা। ভ্যানকুভার পুলিশ সার্জেন্ট স্টিভ অ্যাডিসন এক বিবৃতিতে স্বীকার করেছেন, এসব মৃত্যুর অধিকাংশই দাবদাহের সঙ্গে সম্পর্কিত। কানাডার পরিবেশ বিভাগ সতর্কতা জারি করে নাগরিকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে পানির সংস্পর্শ রেখে ঘরের ভেতর থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, বৃহস্পতিবারের চিত্র আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply