রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারে রাজনগরে উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালেক মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১১ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের এক পত্রের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের নামে অধিগ্রহণকৃত জায়গায় সরকারি টাকা ব্যয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সাথে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না- তার জবাব দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের নামে অধিগ্রহনকৃত ৩৫ নং জেএল-এর দক্ষিণভাগ মৌজার আরএস ১১৮৬৭, ১১৮৬৮ ও ১১৮৬৯ দাগের ৯ শতক ভূমিতে কামারপট্টি প্রকল্প নামে ঘর নির্মাণ করা হয়। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিজিসিসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলজিএসপি প্রকল্প থেকে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে দোকান কোটা নির্মাণ শুরু হয়।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিজিসিসি কয়েকটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলজিএসপি প্রকল্প থেকে ৯ লক্ষ ৫২ হাজার ১২১ টাকা বরাদ্দ দেয় ইউপি পরিষদ। এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তৎকালীন ইউএনও ফেরদৌসী আক্তার ঘটনা তদন্ত করেন।
পরবর্তীতে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা পাল এ বিষয়ে তদন্ত করেন। চলতি বছর অর্থাৎ গত ১ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সুপারিশের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ গতকাল ১১ জুলাই ৫২৯ নং স্মারকের প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না-তার জবাব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া জানান, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে কামারপট্টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পেরীফেরির জায়গা অবমুক্ত রয়েছে। কোন ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। এরপরও কেন এমন হলো বলতে পারছি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা পাল জানান, সরকারিভাবে আমার হাতে এধরনের কোন চিঠি এখনো আসে নি। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের একটি পত্র আমার নজরে এসেছে। পত্র হাতে পেলে বিস্তারিত বলতে পারবো।#
Leave a Reply