সামুদ্রিক ও নদীর মাছের জন্য বিখ্যাত লক্ষ্মীপুর  সামুদ্রিক ও নদীর মাছের জন্য বিখ্যাত লক্ষ্মীপুর  – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা : ১৪ টি যানবাহন জব্দ কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আটক কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নে জিপিএ-৫ ও এ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজারহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ বন্ধে সংলাপ কুড়িগ্রামে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র মতবিনিময় কুলাউড়া জয়চন্ডীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন মিলন বৈদ্য

সামুদ্রিক ও নদীর মাছের জন্য বিখ্যাত লক্ষ্মীপুর 

  • বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর ::

লক্ষ্মীপুরের ৩ ঘাট সামুদ্রিক ও নদীর মাছের জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।নানা রঙ্গের রুপচাঁদা,সুরমা, মাইট্যা, বড় বাটা, বড় কাইক্কা, লাক্ষ্যা, ছুরি, বোম, বাইন, গুয়াকাটা, তাইল্লা, ফাইস্যা, রাঙা চইটকা, নাগরু, লইট্যা, বাইল্যা, হো বাইল্যা, পোয়া, গাঙ কৈ, যাত্রিক, চাপিলা, চেউয়া, লাল কাপিলা, কালো কাপিলা,শাপলা পাতা মাছ, গলদা চিংড়ি, ইলিশ, কেচকিসহ নাম না জানা শত প্রজাতির সামুদ্রিক ও নদীর মাছের জন্য লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার তিনটি ঘাট দিন দিন ব্যাপক পরিচিতি পাচ্ছে।

ঘাটগুলো হচ্ছে রামগতি বাজার ঘাট, আলেকজান্ডার সেন্ট্রার খাল এবং টাংকি বাজার ঘাট। শুধু এ তিনটি ঘাটেই প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার নদী ও সাগরের মাছ বিক্রি করা হয়।

এ তিনটি ঘাট ছাড়াও রামগতি, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর সদর এবং রায়পুরে আরো ১৭টি ঘাট রয়েছে। অপর ঘাটগুলো হলো: রামগতির আদালত ঘাট, গাবতলী ঘাট, সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট ঘাট, বুড়িরঘাট এবং রায়পুরের হাজীমারা, নতুন ব্রীজ, পানির ঘাট, বালুর চর, মেঘনার বাজার, পুরান বেড়ী, বেড়িঁর মাথা, হাজিমারা, মেঘনাঘাট, কমলনগরের মতিরহাটঘাট, তালতলী, বাতিরঘাট এবং কটরিয়াঘাট।

রামগতি বাজার ঘাট, আলেকজান্ডার সেন্ট্রার খাল এবং টাংকি বাজার ঘাটে রাত দিনই মাছ বেচাকেনা চলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শতশত বড় বড় নৌকা মাছ বিক্রি করার জন্য ঘাটে বাঁধা রয়েছে। জেলে আর ক্রেতাদের হাকডাকে পুরো ঘাট এলাকা সরগরম।

শনি বার টাংকি বাজার ঘাটে গিয়ে প্রায় ২ কেজি ওজনের কাইক্কা এবং আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের সামুদ্রিক বাটা মাছ বিক্রি হতে দেখা গেছে। শত শত ক্রেতা মুখর পুরো এলাকা।

আলেকজান্ডার সেন্ট্রার খাল সূত্র জানায়, ঘাটে সবাই পাইকারি ব্যবসায়ী। জেলেদের মাছ ডাকে উঠানোর পর পাইকারি ব্যবসায়ীরা তা কিনে নেয়। পরে পোন হিসেবে (৮০টি এক পোন) ইলিশ বিক্রি করা হয় বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে। এরমধ্যে ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত ৮০টি ইলিশ ৫০-৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মাঝে মধ্যে এ পরিমাণ ওজনের ইলিশ ৭০-৮০ হাজার টাকাও বিক্রি করা হয়। আবার অনেক সময় দাম লাখেও ছুঁয়ে যায়।

অন্যদিকে রামগতির টাংকি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুর রব বেপারী জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৮০ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হয় এ ঘাটে। এর মধ্যে প্রতিদিন আড়াই কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হয়। মাঝে মধ্যে ১০ কোটি টাকার ইলিশও বিক্রি হয়।

অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর শহরের থেকে আলেকজান্ডার মাছ ঘাটে ছুটে আসা স্কুল শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার জানান, তিনি আগে কমলনগরের মতিরহাট ঘাট থেকে ইলিশ কিনতেন। কিন্ত আলেকজান্ডার মাছ ঘাটে আসার পর তার ধারণাই পাল্টে গেছে।

তিনি অবাক হয়ে বলেন, এত বড় মাছ ঘাট যে আরো আছে তা আগে জানতেনই না। তিনি আরো বলেন, যদি সামুদ্রিক ও নদীর মাছ কিনতে হয় তবে রামগতির আলেকজান্ডার মাছ ঘাট, রামগতি বাজার মাছ ঘাট এবং টাংকি বাজার মাছ ঘাটের বিকল্প নেই।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews