বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখার গাজিটেকা ও পেনাগুল গ্রামে তৃতীয় ও অষ্টম শ্রেণির ২ শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে গাজিটেকায় শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই পুলিশ ধর্ষক বালক রেজাউল ইসলামকে (১৪) গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার কলারতলিপাড় গ্রামের লোকমান উদ্দিনের ছেলে। রোববার পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে সংশোধনাগারে প্রেরণ করেছে।
এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ এই দুই ধর্ষিতাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে।
জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম (১৪) গাজিটেকা গ্রামে ধর্ষিতা বালিকার পাশের বাড়ির কাজের ছেলে। শনিবার দুপুরে অন্যান্য ছেলে-মেয়ের সাথে খেলাধুলার সময় রেজাউল কৌশলে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ডেকে বসতঘরের নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়িতে যাওয়ার পর ভিকটিমের রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনা প্রকাশ পায়। রাতেই ধর্ষিতার মা রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
অপরদিকে উপজেলার পেনাগুল গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর কিশোরী শিক্ষার্থীকে (১৪) বৃহস্পতিবার ভোরে প্রতিবেশি লম্পট শাহান আহমদ (২৬) কৌশলে ঘরে ঢুকে নিজ বসতঘরে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। শাহান গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে। এঘটনায় শনিবার ধর্ষিতার মা শাহান আহমদকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।
থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ জানান, পৃথকস্থানে এক শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুটি ঘটনায় তাদের মা থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে শিশু ধর্ষণের মামলায় পুলিশ এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কিশোরী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতা শিশু ও কিশোরীকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply