মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::
শ্রীমঙ্গলে স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক, নারী ও স্ত্রীকে অবৈধ ব্যবসায় জড়িত করার চেষ্টার অভিযোগ এনে শনিবার ০২ অক্টােবর মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তভোগী সালমা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলেন, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মেম্বার আব্দুস সালাম রাজার মাদক,নারী ব্যবসার সাথে নিজে জড়িত। এই সব কাজে স্ত্রীকে জড়িত করার চেষ্টায় শারীরিক মানষীক নির্যাতনসহ, খাদ্য দ্রব্যের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে নেশা গ্রস্থ করে আপত্তি কর ছবি তোলে এই সমস্ত ছবি ইনন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রাখেন।
প্রায় ১৩ বছর পূর্বে সালমা বেগমের পূর্বের সংসারের বিচার করতে গিয়ে সরলতার সুজুগ নিয়ে কৌশলে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভূল বুঝাবুঝির সৃস্টি করে বিবাহ বিচ্ছেদ করান। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর অসহায়ত্বের সুজুগ নিয়ে বিবাহিত আব্দুস সালাম রাজা মেম্বার ২লাখ টাকা দেন মোহর দিয়ে ইসলামীক শরিয়ত মোতাবেক তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার কথামতো অবৈধ কাজ করার জন্য শারিরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। রাজা মেম্বারের আরো ৩টি স্ত্রী রয়েছে। চুনারুঘাটের লাকী বেগমকে সে প্রথমে বিয়ে করে । ২য় বিয়ে করে তার প্রথম স্ত্রীর আপন বড় বোন রহিমা বেগমকে। ৩য় বিয়ে করে শ্রীমঙ্গলের লালবাগ এলাকার ইমা বেগম নামে ২ সন্তানের জননী বিবাহিত মেয়েকে। যার বিয়ে হয়েছিল ঢাকার কোন এক ব্যাক্তির সাথে। তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে স্বামীর সাথে তালাক করায়। এই মেয়েটি বর্তমানে সৌদী আরবে আছে। মেম্বারের প্রথম পক্ষের বিয়ের ছেলে মো: ফরহাদ আহমেদ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চেতনা নাশক ঔষধ ব্যবহার করে ডাকাতি করে। ইয়াবাসহ পুলিশের নিকট ধরা পরে দীর্ঘ দিন জেলে কেটে বেড়িয়ে অজ্ঞান পার্টিও সদস্য হিসাবে ডাকাতির মামালায় জেল হাজতে যায়। তার নির্যাতনে সালমা বেগম অতিষ্ট হয়ে ২০১৮সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মৌলভীবাজার আদালতে মামলা করেন। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় ও স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন নিয়ে সালিশ বৈঠকে দুই লাখ টাকা দেন মোহর পরিশোধ করে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু আবারও তাকে চাপও ভয় ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করে সে এবং বিভিন্ন কৌশলে দেন মোহরের ২লাখ টাকা ও পৌনে ২ভরি সোনা হাতিয়ে নেয়।
২০১৯ সালের ২৫জুলাই তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে সিলেট নিয়ে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে পূনরায় বিয়ে করে। কিছুদিন পর থেকে আবারও তাকে নির্যাতন শুরু করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ২য় বার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে সালমা বেগম । কিন্তু তার অবৈধ কার্যকলাপের স্বাক্ষী হয়ে যাবে চিন্তা করে আব্দুস সালাম রাজা আপোস করে নেয়। বর্তামানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা চলমান আছে। উলেখিত বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এর নিকট আবেদন করেছেন।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply