কুড়িগ্রামে বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত ও ৫টি বাড়ি বিধস্ত কুড়িগ্রামে বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত ও ৫টি বাড়ি বিধস্ত – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা : ১৪ টি যানবাহন জব্দ কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আটক কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নে জিপিএ-৫ ও এ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজারহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ বন্ধে সংলাপ কুড়িগ্রামে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র মতবিনিময়

কুড়িগ্রামে বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত ও ৫টি বাড়ি বিধস্ত

  • সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০

বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সদর :: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলার ৯টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের ৫ শতাধিক গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে ধরলা নদীর পানির প্রবল চাপে সদর উপজেলার সারডোবে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

সারডোব গ্রামের স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮ টার দিকে বাঁধটি ভেঙে পানি প্রবল বেগে ধেয়ে আসে। একে একে ৫টি বাড়ি বিধস্ত হয়। অনেক মালামাল ভেসে যায়। তীব্র স্রোতে নৌকা নিয়ে সেখানে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

হলোখানা ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন জানান, বাঁধটি ভাঙার ফলে হলোখানা, ভাঙামোড়, কাশিপুর, বড়ভিটা ও নেওয়াশি ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে গবাদীপশু নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন। মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে নৌকা পাওয়া যাচ্ছে না। বাঁধের এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ও কুড়িগ্রাম জেলা সদরে যাতায়াত করতো। যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ময়নুল ইসলাম জানান, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের জন্য সেখানে দুটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বাঁধটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে বিকল্প বাঁধ রক্ষার জন্য বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু পানির প্রবল চাপে শেষ পর্যন্ত বাঁধটি ভেঙে যায়।

জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ৪৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে।

এইবেলা/জেএইচজে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews