কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারা দেশের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা ও স্টিকার বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলার পৌর এলাকা, শমশেরনগর বাজার, আদমপুর, পতনঊষার শহীদনগর বাজারে দেখা যায় মৌসুমি পতাকা বিক্রেতাদেরকে।
প্রতি বছর বিজয়ের মাস আসলেই ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে জাতীয় পতাকা বিক্রির উৎসব শুরু হয়ে চলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত। বিজয়ের মাসে বিভিন্ন বাজারের দোকান, বাড়ির ছাদ, ব্যক্তিগত গাড়ি এমনকি সিএনজি অটোরিকশায় লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। এজন্য উপজেলার বাজারগুলোতে চলছে জাতীয় পতাকা বিক্রি। এই সব মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পতাকা বিক্রিতে ব্যস্তসময় পার করছেন।
মৌসুমি পতাকা বিক্রেতা মো. ফরাশ সিকদার জানান, মাদারীপুর জেলা থেকে মৌলভীবাজার জেলায় ১৫ সদস্যের একটি টিম জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে এসেছেন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে ১ তারিখ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন বাজারে তারা পতাকা বিক্রি করেন। গত ১০ বছর ধরে বিজয়ের মাস আসলেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার পতাকা বিক্রি হয়। খরচ বাদে ৩ থেকে ৪শ’ টাকা লাভ হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পতাকা বিক্রি কম হচ্ছে। বিজয়ের মাস এলেই মাদারীপুর জেলার মানুষ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় এভাবে মৌসুমি পতাকা বিক্রি করেন। তারা একেক দিন একেক এলাকায় একজন করে পতাকা বিক্রি করেন।
জাতীয় পতাকা কিনতে আসা ব্যবসায়ী আরিফ আহমেদ বলেন, ১৬ ডিসেম্বরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করবো এ জন্য পতাকা কিনেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্বরণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা অনেক গৌরবের।
পতনঊষারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া অসুস্থ অবস্থায় বলেন, দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় এইতো কিছু দিন আগেই দেশ স্বাধীন করলাম। যে আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, সেই আসা এখনও পূর্ণতা পায়নি। বিজয় দিবসে সঠিক নিয়মে সবাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এটাই কামনা। #
Leave a Reply