রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের লঙ্গুরপুল (আশ্রাকাপন) এলাকায় ২১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা রাজনগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন ও রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় নৌকার সমর্থকরা পাশের একটি বাড়িতে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের লঙ্গুরপুল এলাকায় সরখরনগরের দিক থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখতের লোকজন মিছিল নিয়ে আসছিলেন। একই সময় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মিলনের নেতৃত্বে একটি মিছিল কদমহাটা থেকে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়ক দিয়ে লঙ্গুরপুল এলাকায় আসে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের লোকজন ধাওয়া দিলে নৌকা সমর্থকেরা পাশের আশ্রাকাপন এলাকার ওয়াহিদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদ উদ্দীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াহিদ মিয়ার বাড়িতে আটকে পড়া নৌকা সমর্থকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহতরা হলেন সিদ্দেক মিয়া (৭০), সুহেল মিয়া (২৭), ফুরকান মিয়া (৩৫), মকবুল মিয়া (৬৫), বাচ্চু মিয়া (৪৫), সুনাই মিয়া (৩৩), আল আমিন (৩৮), শামছুল মিয়া (১২), স্বপন মিয়া (৪৫), ও আব্দুল আহাদ (৩৫)।
এদিকে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত জানান, বেশ কয়েকদিন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার লোকজন উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছেন। ভোটারদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। আজকে আমার সমর্থকদের প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। ঘর ভাঙচুর করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মিলনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদ উদ্দীন জানান, দুই প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।#
Leave a Reply