কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আশঁও বলা হয়। এই সোনালী আশঁ দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশীক মুদ্রা উপার্জন করে বাংলাদেশ।
জ্বালানি হিসাবে পাট খড়ির প্রয়োজনীয়তা বা কদর সারাদেশে প্রচুর রয়েছে। সাধারণত গ্রামে চুলা ধরানোর প্রধান উপকরণ হচ্ছে এই পাট কাঠি। পাট খড়ি পাট চাষের জন্য আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ। পাট আশেঁর দ্বিগুণ পরিমাণ খড়ি উৎপাদিত হয়। ঘরের ছাউনি, বেড়া এবং জ্বালানি হিসাবে পাট খড়ির ব্যবহার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় ২০-৩০ বছর আগে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে প্রায় বাড়িতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল। এই ঘরের বেড়া বাশঁ, পাট কাঠি আর কাশ দিয়ে দেওয়া হতো।
কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলে এখন গ্রামগঞ্জেও প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে টিনের ঘর বা দালান ঘর এসব কারণে এখন আর তেমনটা পাট কাঠি দিয়ে বেড়া দেওয়ার রেওয়াজ নেই বললেই চলে।
তারপরও পাট কাঠির কদরে ভাটা পড়েনি এখনো। ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের বাসিন্দা নরেন চন্দ্র রায় বলেন, এখনো গ্রামে দেখা যায় বাশঁ, কাশ ও পাট কাঠির দৃষ্টিনন্দন বেড়া এবং চেকার। এর বেড়া বা চেকার খুবই সুন্দর ও মজবুত হয়।
কিন্তু এর একটা অসুবিধাও রয়েছে। কাশের বা পাট কাটির বেড়ার চেকারে উইপোকা বেশি ধরে ও বছর বছর বদলাতে হয় একারণেই এর ব্যবহার দিন দিন কমে কমে যাচ্ছে।
কৃষকরা পাট কাটি দিয়ে পটল, লাউ, ঝিঙা, শিম,করলা, কুমড়া, বরবটি,শশা ও পটলের মাচা দেওয়ার প্রচলন ব্যাপকহারে রয়েছে।
বর্তমান বাজারে পাট কাঠির চাহিদাও রয়েছে প্রচুর এবং দামও অনেক ।#
Leave a Reply