সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ::‘‘ চা দিবসের সংকল্প’ সমৃদ্ধ চা শিল্প’’ এই শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় বারের মতো পালিত হলো জাতীয় চা দিবস ২০২২ খ্রি। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে থেকে একটি র্যালী বের করা হয় এবং র্যালী শেষে চা প্রদর্শণী উদ্বোধন করা হয়।
আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) তানিয়া সুলতানা। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ) ড. মো: আব্দুল আজিজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিনন্ন চা বাগানের সিনিয়র প্লান্টার্স, বিটিআরআই ও পিডিইউ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
জানাযায়, গত ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তাঁর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরনীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকা বিবেচনায় ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ হিসাবে ঘোষনা করে বর্তমান সরকার।
সে লক্ষ্যে ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত হয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে গত বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হয়।
চা বোর্ড সুত্রে জানাযায, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,বৃটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময় ১৮৩৪ সালের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলায় চায়ের চাষাবাধ শুরু হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলায় তা সম্প্রসারিত হয়।বর্তমানে দেশে বানিজ্যিক চা বাগানের সংখ্যা ১৬৬ টি। আর সিলেট অঞ্চলে চা বাগানের সংখ্যা ১৩৭ টি। চায়ের রাজধানী শুধু মৌলভীবাজার জেলায় আছে ৫৮ টি চা বাগান। এর বাইরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বানিজ্যিক এবং উত্তরাঞ্চলে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে চায়ের চাষবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই) সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ চা মৌসুমে দেশে ৯৫ দশমিক ৬০ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২১-২২ মৌসুমে ৯৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন কে জি চা উৎপাদিত হয়। যাহা এখন পর্যন্ত দেশে চায়ের সর্বোচ্চো উৎপাদন রেকর্ড।
ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া চা বাগানের জেলারেল ম্যানেজার (জিএম) মি. শিবলী বলেন, দেশে বর্তমানে চা চাষ সম্প্রসারণে বড় বাধা প্রয়োজনীয় টিলা তথা বনভূমির অভাব। পাশাপাশি চায়ের বাজার মূল্য এখন অনেক কম।#
Leave a Reply