কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার ভাতা আত্মসাৎসহ নানা ধরণের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি, ক্ষতিগ্রস্ত ও সুনাম বিনষ্ট করানোর অভিযোগ তুলেছেন এক ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান। রোববার (০৫ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াকু মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য ইয়াকুব মিয়া বলেন, আমি পরপর ২ বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান। আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপূর্ব নারায়ন বিগত নির্বাচনে আমার সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করে পরাজিত হন। এর পর থেকে তিনি নিজে ও লোকজনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারী শপথ গ্রহণের দিন শমশেরনগর চা বাগানে আদনারায়ন তাঁতী তাঁর বাড়ির টিলা থেকে মাটি কাটার ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করেন। ঐদিন আমার শপথগ্রহণ থাকায় তদন্তে আমার কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
পরে অপূর্ব নারায়ন গত ১২ ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জ থানায় আমাকে ও আমার ভাই হামিদ মিয়াকে জড়িয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেন। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে চা বাগানের জমিদখল সহ নানা অভিযোগ প্রদানেরও চেষ্টা করেন।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নিমাই লোহার এর স্ত্রী লক্ষ্মীছত্রীকে দিয়ে সর্বশেষ গত ২৬ মে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। ব্যাংক থেকে তাহার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করানোর পর আমি কিছু টাকা তাকে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছি। এমনকি তাহার চেক বইটিও আমার কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ করানো হয়।
ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীছত্রীর এধরণের মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত সত্যতা উদঘাটনের দাবী জানান।
অভিযোগ বিষয়ে অপূর্ব নারায়ন বলেন, ইয়াকুব মিয়ার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। কে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেটি আমার দেখার বিষয় নেই।#
Leave a Reply