কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমানায় ডালুয়াছড়া কালভার্টের একপাশে সড়কের সাথে সংযোগ ভেঙে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে নানা যানবাহন।যে কোন সময় ভেঙ্গে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রবেশদ্বার ৫.৫ কি.মি. দীর্ঘ মধ্যভাগ-ইউপি অফিস সড়কের প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে। দুই ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক নাগরিকের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। গ্রাম্য সড়কের এ কালভার্টের মুখে একপাশে সড়কের নিচের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টিতে এ পথে মানুষজন রীতিমত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। দিনের বেলা দেখে শুনে পারাপার হলেও রাতের বেলা দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে মানুষজন পারাপার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয়রা জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রবেশদ্বার ৫.৫ কি.মি. দীর্ঘ আদমপুরের মধ্যভাগ-ইসলামপুর ইউনিয়ন অফিস সড়কের প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে কয়েক বছর আগে। দুই ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক নাগরিকের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। উপজেলা এলজিইডি বিভাগ এ রাস্তাটি পাকাকরণ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পূর্ণচাঁদ সিংহ, শিক্ষক প্রসন্ন সিংহ, সাইফুর রহমান সায়েল, গৌছ আলী প্রমুখের সাথে কথা বলে জানা যায়, আদমপুরের মধ্যভাগ মোকামবাজার থেকে আধ কিলোমিটার দুরে ডালুয়াছড়ার উপর ১৯৯১ সালে নির্মিত এ কালভার্ট দিয়ে ৩১ বছর ধরে প্রতিদিন শতশত যানবাহন ও পথচারীর চলাচল করছে ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শিক্ষক ধীরেন্দ্র কুমার সিংহ জানান, ৩১ বছরেরও আগে ডালুয়াছড়ায় ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার নির্মানাধীন কালভার্ট কারিগরি জটিলতার কারণে এক পার্শ্ব দেবে যায়।
পরে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের বদৌলতে পাশেই এ কালভার্টটি নির্মিত হয়। এই মুহুর্তে এই কালভার্টের পশ্চিম পার্শ্বে নিচের মাটি সরে গিয়ে একটি গর্তের সৃষ্টি হয় এবং বাকি যে অংশটুকু আছে তাও সুড়ঙ্গ হয়ে গেছে। যেকোন মুহুর্তে এখানে বড় ধরণের বিপদ হতে পারে।
এলজিইডি’র কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ সড়কে কালভার্টে এ সমস্যা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
Leave a Reply