আল আমিন আহমদ, জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::“শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর শুরু” প্রতিপাদ্যর মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জাতীয় শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়।
২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে র্যালি মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকতা কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা কমিটির আহবায়ক তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ আহমদ এর সভাপতিত্বে ও মুক্তাদির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক আলী ও জাঙ্গীরাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন জাঙ্গীরাই দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা আব্দুর রহিম সরকার,গীতা পাঠ করেন হরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির বরণ রুদ্র পাল।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস,ফুলতলা-সাগরনাল শাহ নিমাত্রা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জহির উদ্দিন,নওয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা লিয়াকত আলী খান,উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ আলাউদ্দিন,প্রভাষক বদরুল ইসলাম,ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত আরমান আলী,উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম,প্রথম আলো প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূন চম্পু,বিশ্বনাথ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আইনুন নাহার বেগম, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রঞ্জন রুদ্র পাল প্রমুখ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকগণ উপজেলা স্কাউট এর সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বক্তব্যে শিক্ষক প্রতিনিধিগন বলেন,সরকার আজকের দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন কিন্তু আমাদের এই অনুষ্ঠানের উপজেলা প্রশাসনের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। আমাদের দাবি-দাওয়া কার কাছে বলব এতে মনে হয় প্রশাসন শিক্ষকদেরকে কখনো মূল্যায়ন করে না। উপজেলা প্রশাসনের যে কোন অনুষ্ঠান হলে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমরা শিক্ষকগণ সকল অনুষ্ঠান সুন্দরবন সার্থক করে তোলার জন্য আমাদের মুখ্য ভূমিকা থাকে। অথচ আমাদের অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি থাকলেও আমরা খুশি হতাম। তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান আমাদের অনুষ্ঠানে যোগদান করায় আমরা উনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আলোচনা সভা শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে কয়েকটি ফলজ বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন শিক্ষকরা।#
Leave a Reply