ভালুকা ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ভালুকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের হিসাব রক্ষক ও জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগ ভালুকা শাখা কমিটির সভাপতি এস. এম এমদাদুল হকের অবৈধ সম্পদের পাহাড় তদন্তের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে উপজেলার রাংচাপড়া ৭ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এস. এম এমদাদুল হকের ঢাকায় পূর্ব আজমপুর গুলবার মুন্সি স্মরণী রোডের ১৮৫ নম্বর আট তলা একটি বাড়ি রয়েছে। ভালুকা পৌরসভার গ্যাস লাইন মোড়ে তিন তলা একটি ও গ্রামের বাড়ি রাংচাপড়ায় একটি আলিশান বাড়ি রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে সে তার ব্যাক্তিগত ক্ষমতা বলে সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজ বাসায় আবাসিক একটি মিটারের জন্য একাই ২৫০ কেবি একটি ট্রান্সফর্মার ব্যাবহার করেন। সাত দিন ব্যাপী মেয়ের বিয়ের ব্যায়বহুল অনুষ্ঠান করেছেন। মেয়ের বিয়েতে একশত ভরি স্বর্ণ উপহার দিয়েছেন। তাছাড়া তার স্ত্রীরও সমপরিমান স্বর্ণ রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে যে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ভালুকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের হিসাব রক্ষক ও জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগ ভালুকা শাখার কমিটির সভাপতি এস.এম এমদাদুল হকের ছেলে ও মেয়ের নামে অনেক জমি ও সম্পদ ক্রয় করেছে। সম্প্রতি দিদার ফ্যাক্টরি নামের একটি কারখানার মালিকের কাছ থেকে কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছে। অভিযোগ আরও উল্লেখ রয়েছে যে, এমদাদুল হক এরকম আনেক চাঁদাবাজি করেই চলছে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
এমদাদুলের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাংচাপড়া গ্রামের এক ব্যাবসায়ী জানান, সামান্য হিসাব রক্ষক পদে চাকুরি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করা কিভাবে সম্ভব। সে যে একজন দূর্নীতিবাজ এটা তার চাল চলনেই প্রমানিত হয়। আমরা এলাকাবাসী তার অত্যাচারে অতিষ্ট। আমরা চাই তার সম্পদের হিসাব সরকারকে দেওয়া হোক।
বাউবো ভালুকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের হিসাব রক্ষক অভিযুক্ত এস. এম. এমদাদুল হক মোবাইল ফোনে বলেন, যে যত পারেন অভিযোগ দিন, আমার কোন সমস্যা নাই। এখন দূরে আছি পরে আপনার সাথে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলবো।
Leave a Reply