এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের মিঠুপুর-আবুতালিপুর গ্রামের সংযোগস্থলে গোগালিছড়ার উপর ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: শিমুল আলীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, ৪নং জয়চন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব প্রমুখ। এছাড়াও কুলাউড়ার সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এমপি’র পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবু মোহাম্মদ ও হোসেন মনসুর আহমদ।
এদিকে বহুদিনের আকাক্সিক্ষত এ ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস বইছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, ওয়ার্ড সদস্য বিমল দাস, প্রবীন মুরব্বি দেওয়ান খা, লাল মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ, ব্যবসায়ী মাছুম আহমদ, আতাউর রহমান দুদুসহ অনেকেই জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এখানে পাকা একটি সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছিলেন এলাকার লোকজন। দীর্ঘদিন পরে আজ সেতুর কাজ শুরু হয়েছে এটা দেখে আমারা খুবই আনন্দিত। ভয়ে ভয়ে আর বাঁশের সাকো পার হতে হবেনা আমাদের।
জয়চন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব জানান, দর্ঘিদিন থেকে ইউনিয়নের মিঠুপুর, আবুতালিপুর, রামপাশা ও বেগমানপুর এলাকার লোকজন এই গোগালিছড়ার উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ এলাকাবাসীর দাবীটি পূর্ণতায় রুপ দিচ্ছেন। যারফলে আমরা সকলেই খুশি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রমিজ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ট্রেডার্স এর সত্বাধিকারী, জয়চন্ডী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গির হোসেন জানান, দীর্ঘ বন্যার কারনে ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। আশাকারি চার থেকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে ব্রীজ নির্মাণের কাজ কমপ্লিট করা হবে। সুন্দর ও স্বচ্চভাবে কাজ সম্পন্ন করতে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: শিমুল আলী জানান, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে এ গার্ডার ব্রীজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ব্রীজটি নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৫ লক্ষ টাকা। ব্রীজটি কমপ্লিট করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ১৮০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply