নিশাত আনজুমান, আক্কেলপুর,জয়পুরহাট, প্রতিনিধি::সারা দেশের ন্যায় রমজানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেটের কারনে নিম্নমানের আয়ের মানুষ দিশেহারা। জ্বালানি তেল ও সিন্ডিকেটের কারনে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। বর্তমান সময়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রমজান মাসে সম্প্রতি চাল, ডাল, তেল, দূধ ও সবজি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কোনোভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এতে করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা হিমসিম খাচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় মুরগীর দাম কমলেও আক্কেলপুরে আজও দাম কমেনি।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সব দ্রব্যের মূল্যে ঊর্ধ্বমুখী। তবে যত দিন যাচ্ছে বাজারে ততই চাল, তেল ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজির ১৮০ টাকা, বোতল জাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা, সরিষা তেল ১৭০টাকা, চিনি ১১২টাকা, আটা ৬৫ টাকা, বয়লার মুরগী ২১০ টাকা, সোনালী মুরগী ৩১০ টাকা, ডিমের প্রতি হালি ৪০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৯শ থেকে হাজার টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আক্কেলপুর কলেজ বাজারের মাছ বাবসায়ী মোঃ মহাতাব উদ্দিন সাংবাদিককে জানান, আগের তুলনায় আজকে একটু মাছের দাম কমেছে। আজকে টেংরা ৫৫০ টাকা, পাবদা ৩২০ টাকা, ইলিশ(ছোট) ৫শ থেকে ৫শ ৫০টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২২৫টাকা, রুই ২৭০ টাকা, মৃগেল ১৮০টাকা প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে।
কলেজ বাজার ঘুরে দেখা যায় টাটকা লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকাসহ সবধরনের সবজির বাজার আগের মতোই চড়া এবং রমজানের পূর্বে গাভীর দূধ প্রতি লিটার ৩৫ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা এনামূল বলেন, আমাদের কৃষি প্রধান ও সাক-সবজির এলাকা। কৃষকদের আমদানি বাড়লে সাক-সবজির দাম কমে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার বলেন, রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার আইনে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে এবং তা অব্যহত থাকবে। #
Leave a Reply