ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চায়ে চমক দেখাচ্ছেন রুহুল আমিন। রুহুল আমিনের বাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গঙ্গারহাট গ্রামে।
দুই বছর আগে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা এনে প্রায় তিন বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানে শোভা পাচ্ছে ২২ জাতের আঙ্গুরের গাছ। বাইকুনর, গ্রীনলং, একেলো, এনজেলিকা, মুনড্রপসহ বিভিন্ন জাতের থোকা থোকা আঙ্গুর।
এসব আঙ্গুরের রং ও স্বাদ বিদেশ থেকে আমদানি করা আঙ্গুরের মতো হওয়ায় মিলেছে সফলতাও। লাভজনক এ ফল চাষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া গেলে আমদানি নির্ভরতা কমার পাশাপাশি লাভবান হতে পারবেন কৃষকরাও।
আঙ্গুর চাষি রুহুল আমিন বলেন, ‘রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আঙ্গুর চারা সংগ্রহ করে দুই বছর আগে রোপণ করেছিলাম। পাশাপাশি বিদেশে যেভাবে আঙ্গুর চাষ করা হয় সে কৌশল অবলম্বন করেছি। গত বছর কিছু আঙ্গুর এসেছিল। এ বছর আরও বেশি ফল এসেছে। আগামী বছর সবগুলো গাছে আঙ্গুর আসলে তা দিয়ে জেলার বাজারের চাহিদা অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে।
কুড়িগ্রাম জেলায় বিভিন্ন রকম ফলের চাষ হলেও আঙ্গুরের বাগান এটিই প্রথম। এখানের মাটিতে আঙ্গুর চাষের সম্ভাবনা জাগায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন নতুন উদ্যোক্তারাও। এ ছাড়া প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রুহুল আমিনের আঙ্গুর ক্ষেত দেখতে ভিড় করছে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লোকজনও এসেছেন আঙ্গুর বাগান দেখতে
আঙ্গুর বাগান দেখতে আসা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক জানান,রুহুল আমিনের কাছ থেকে আঙ্গুর চারা সংগ্রহ করে বাগানে রোপণ করার পর ইতোমধ্যেই ফল এসেছে। এই আঙ্গুরের রং ও স্বাদ বাজারে আমদানি করা আঙ্গুরের চেয়েও ভালো। এই জেলায় আঙ্গুর চাষ ছড়িয়ে দেয়া গেলে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক কৃষিবিদ বিল্পব কুমার মোহন্ত জানান, আঙ্গুর চাষের উপযোগী বিপুল পরিমাণ জমি থাকায় ভবিষ্যতে কুড়িগ্রাম জেলায় এ ফল চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,জেলায় আঙ্গুর চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর।
Leave a Reply