রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নে ১৬ আগস্ট বুধবার মায়ের হাতেই খুন হলো আবির হাসান জয় (১১) নামক শিশু। সে শাহজালাল সার ফ্যাক্টরির এনজিএফ স্কুলের ষষ্ট শ্রেনীর ছাত্র। পুলিশ ঘাতক মা সোহেনা বেগম (৪০) কে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ইন্দানগর পানপুঞ্জি (যাদুরগুল) গ্রামের শাহজালাল সার ফ্যাক্টরির কর্মচারী মো. আসলাম আলীর স্ত্রী সোহেনা বেগম নিজ হাতে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ছেলে আবির হাসান জয়কে। পুলিশের কাছে সোহেনা বেগম ছেলের মোবাইল আসক্তির কারণে রেগে গিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানালেও স্থানীয় লোকজন বলছেন ভিন্ন কথা। সোহেনা বেগমের পরকীয়ার বিষয়টি হয়তো ছেলে দেখে ফেলায় ছেলেকে হত্যা করেছেন এমন আলোচনা চাউর হয়েছে এলাকায়।
পুলিশের কাছে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে সোহেনা বেগম জানিয়েছে, ছেলে আবির হাসান জয় মোবাইলে বেশ আসক্ত ছিল। তাকে বারবার বারন করা সত্ত্বেও সে গেম ইফটিউচ চালত। বুধবার সকালে স্কুলে না গিয়ে মোবাইলে গেমখেলা ও ইউটিউব দেখায় মেতে থাকে। এতে দু’জনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি রেগে গিয়ে নিজের ওড়না দিয়ে ছেলের গলায় পেছিয়ে চেপে ধরেন। এতে ছেলেটি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার ও নিহতের মা সোহেনা বেগমকে আটক করেছে। এছাড়া সদর সার্কেলের এএসপি মো. আজমল হোসেন ও রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জবিনয় ভুষণ রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মির্জা মাজহারুল আনওয়ার জানান, খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মোবাইলের কারণেই ছেলেকে হত্যা করেছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে।
রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, মোবাইলে আসক্ত হওয়ায় মা রেগে গিয়ে ওড়না পেচিয়ে ছেলেকে হত্যা করেছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। পরকীয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযুক্ত মাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদও হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে মা পুলিশের কাছে এমন বর্ণনা দিলেও স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে বলছেন ভিন্ন কথা। আমরা শুনেছি এক ব্যক্তি প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসে। হয়তো শিশুটি মায়ের কোন অনৈতিক কাজ দেখে ফেলেছে। আর এ কারণেই তাকে শ^াসরোধে হত্যা করেছে সোহেনা বেগম।#
Leave a Reply