আত্রাইয়ে রোপা-আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক আত্রাইয়ে রোপা-আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

আত্রাইয়ে রোপা-আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

  • বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি আমন মৌসুমে সবুজ নীলিমায় একাকার বিস্তীর্ণ প্রতিটি ফসলের মাঠ। দিগন্তজুড়ে যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠে এখন রোপা-আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেছে তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।

কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটে।

দৃষ্টি জুড়ে এখন সবুজ ধানের প্রান্তর। উপজেলার প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্নে ছেঁয়ে গেছে। দিগন্ত যেন সবুজ কার্পেটে মোড়ানো এক গালিচা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।। রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দফতরের সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজম প্রামানিক বলেন, এবার আমার মনে হচ্ছে বন্যার আশংক্ষা নেই তাই অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমরা অধিকহারে আমন ধান চাষ করেছি। আশা করছি, এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার শলিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মতো পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবার বড় ধরনের বন্যা না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হব এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ছামাদ প্রামানিক বলেন, এবার স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, চিনি আতপ জিরাশাল ও ব্রি-৭৫.৯০ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে সুমন স্বর্ণা ও জিরাশাল চাষ করছি। তবে যেসব জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হবে, কেবল ওই জমিতে জিরাশাল ধান রোপণ হয়েছে।

উপজেলার তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, রোপা-আমন ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন আমন চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপশ কুমার রায় বলেন, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এ উপজেলার কোথাও কোন পোকা-মাকরের আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews