আত্রাইয়ে পাটের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা আত্রাইয়ে পাটের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

আত্রাইয়ে পাটের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা

  • শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ের কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে সোনালি আঁশ। পাট গাছ পানিতে জাগ দেয়া থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানো ও তা রোদে শুকানোর কাছে এখন ব্যস্ত সময় পারকরছেন চাষিরা।

এবার পাট মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাট চাষিদের অনেকটা বিপাকে পড়তে হয়েছিলো। তবু সাদা সোনালী আঁশের গন্ধে ও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরলেও আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা।

উত্তর জনপদের ঐতিহ্যবাহি আহসানগঞ্জ হাট পাট বেঁচাকেনার জন্য বিখ্যাত। এই হাট সপ্তাহের একদিন বৃহস্পতিবার বসে। নওগাঁ ছাড়াও আশপাশের নাটোর ও জয়পুরহাট, বাগমাড়ার চাষিরা আসে এই হাটে পাট বিক্রি করতে। কিš তাদের অভিযোগ খরচের বিপরিতে বাজার দর বেশ বেমানান। প্রতিমন পাট ২২-২৩শ টাকা দরে বিক্রি করে উঠছেনা তাদের উৎপাদন খরচ।

আহসানগঞ্জ হাটে পাট বিক্রি করতে আসা নওগাঁ সদর উপজেলার পাট চাষী জাফর মন্ডল জানান, বর্তমান বাজারে সব কিছুর উচ্চ মুল্য। তাই পাটা উৎপাদনে দিন দিন খরচ বেড়েই চলেছে। কিন্তু সেই অনুপাতে মিলছে না দাম। বাজারে জাত ও মান ভেদে প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে ২২’শ টাকা পর্যন্ত। তবে এই দামে চাষীদের অনেক লোকশান হচ্ছে। পাটের দাম সর্বনিম্ন ২৮শ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ বিক্রি হলে লাভের মুখ দেখা যাবে।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজাদ প্রামানিক জানান, জমিতে হাল, সার, কিটনাশক সব মিলিয়ে এক মণ পাট উৎপাদনে খরচ পড়েছে গড়ে ১৯’শ টাকা। এরপর এবছর পাটের জাকের জন্য পানি পাওয়া যায়নি। এজন্য শ্রমিকের খরচ লেগেছে অনেক। প্রতিবছর এমন ভাবে চলতে থাকলে মানুষ মানুষ আবাদ বন্ধ করে দিবে।

অন্যদিকে চাষিদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কন্ঠেও লোকশানের সুর। আহসানগঞ্জ হাটে আসা নাটোরের এক ব্যবসায়ী জানান, পাট বেচাকেনা করে আমাদের সুবিধা হচ্ছে না। নগদ টাকায় পাট কিন মিলে দিতে হচ্ছে বাকীতে। আবার মিলাররা সময় মত দিচ্ছে না টাকা। সব মিলিয়ে পাটের ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। এই মুহূর্তে সরকারকে পাটের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। তা না হলে পাট চাষ বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে পাট কারবারে গতি আনা ও দূষন রোধে পন্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সরকার। কিন্তু এখনও বৃহত্তর চালকল সেক্টরসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকর করা যায়নি সেই নির্দেশনা। মিলগুলোতে হরহামেশায় ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর পাষ্টিক ব্যাগ। ব্যবসায়ীদের দাবী, পাষ্টিক ব্যাগে খরচ অনেক কম। আবার পন্যের মানও থাকে ভাল।

নওগাঁ পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, এখনও ঠিকঠাক নিশ্চিত করা যায়নি পাট মোড়কের ব্যবহার। সরকারি যে নিয়ম নীতি রয়েছে তা অনুসরণ করা গেলে আগামী দিনে পাট নিয়ে আর ভাবতে হবে না, পাটের সুদিন নিশ্চিত হবে। সরকারের নির্দেশনা মেনে আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন মিলকারখানায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে থাকি। যারা চটের বস্তা ব্যবহার করে না তাদের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews