বড়লেখায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু দুর্গতদের বড়লেখায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু দুর্গতদের – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

বড়লেখায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু দুর্গতদের

  • মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি:

বড়লেখায় ঈদের দিন সোমবার ও পরের দিন মঙ্গলবারের টানা ভারিবর্ষণে আবারও বন্যার অবনতি ঘটেছে। তলিয়ে গেছে হাকালুকি হাওড়পাড়ের তালিমপুর, বর্নি ও সুজানগর ইউনিয়নের সহস্রাধিক বাড়িঘর ও রাস্তা। পৌরশহরের কলেজরোড, জফরপুর রোড় ও হাটবন্দ সড়কসহ কয়েকটি কলোনি তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকেছে অন্তত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। উপজেলার উজান এলাকায়ও দেখা দিয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। গত দুই দিনের ভারিবর্ষণে নিচু ও উজান এলাকার অন্তত ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। উপজেলার ২২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের ৯টিতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ১৭০টি দুর্গত পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন এসব দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।

বর্নি ইউনিয়নের মিহারী এলাকায় মিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সোনাই নদী তীরবর্তী ইঁসলিং রাস্তা কে বা কারা রাতের আঁধারে কেটে ফেলায় ওই স্থান দিয়ে সোনাই নদীর পানি প্রবেশ করে তিনটি গ্রাম প্লাবিত করেছে। এই তিনটি গ্রামের অন্তত ১০০ পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে।

জানা গেছে, ভারিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে গত এক মাসের মধ্যে চারবার তলিয়ে গেছে বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। কুশিয়ারা ও সোনাই নদীতে পানি নিষ্কাষিত না হওয়ায় হাকালুকি হাওড়ে বাড়তে থাকে পানি। ফলে অবণতি ঘটে বন্যার। হাওড়পাড়ের বর্নি, তালিমপুর, সুজানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পানিবন্দী হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। তার উপর গত সোমবার ও মঙ্গলবারের টানা ভারিবর্ষণে উপজেলার নিচু ও উজান এলাকায় সমানতালে বন্যা দেখা দেয়। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত ৫ হাজার মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম জানান, উপজেলার ২২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা ছিল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গত ১৭০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews