বন্যার ২১ দিনে কুলাউড়া পৌরসভায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৫০ কোটি টাকা বন্যার ২১ দিনে কুলাউড়া পৌরসভায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৫০ কোটি টাকা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ : বিজিবির হাতে শিশুসহ ৫ বাংলাদেশী আটক বড়লেখায় সম্প্রীতি রক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময় আত্রাইয়ে গ্রাম পুলিশের সাথে নবাগত ইউএনও‘র মতবিনিময় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন যুবলীগ নেতা- বড়লেখায় জিম্মি রেস্টুরেন্ট খুলে দিলেন ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে পূবালী ব্যাংকের নতুন ভবনে যাত্রা শুরু কমলগঞ্জের শমশেরনগর : বিমান বাহিনীর ৫২ তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও  মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিবেশগত সমস্যা বিষয়ক প্রচারাভিযান কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের কোন্দল মেটালেন জেলা আহবায়ক জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন

বন্যার ২১ দিনে কুলাউড়া পৌরসভায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৫০ কোটি টাকা

  • রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

 পৌর এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের দাবি

এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার চলতি বন্যায় বিগত ২১ দিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৫০ কোটি টাকা। বন্যা আরও দীর্ঘায়িত হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ ০৭ জুলাই রোববার সংবাদ করে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে সমাজের বিত্তবান, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে বানভাসি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, গত ১৪ জুন থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়, ১৭ জুন ঈদের দিন থেকে কুলাউড়া উপজেলাসহ পৌরসভা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। পৌরসভায় প্রথমে ২টি এবং পরে আরও ২টিসহ মোট ৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এতে ১১৯টি পরিবারের ৪শতাধিক মানুষ আশ্রিত। বন্যায় পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড সম্পুর্ণ এবং ২,৩,৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আংশিক এবং অতিবৃষ্টির কারণে ৯টি ওয়ার্ডে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা, ১২ কিলোমিটার ড্রেন, এক হাজার ঘর- বাড়ি, ১৮টি কালভার্ট, ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি কাঁচা বাজার, অনেক মসজিদ, বিভিন্ন গোবাদি পশুর খামার, বিভিন্ন পুকুর, অফিস আদালতের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

মেয়র আরও জানান, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত দূর্ভোগগ্রস্থ মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা পূনারায় প্রদান করাসহ তা বৃদ্ধি, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট, বাড়ী-ঘর, কালভার্ট ও অন্যান্য অবকাঠামো দ্রুত মেরামত ও পূননির্মাণ এবং দীর্ঘস্থায়ী জলবদ্ধতা দূরীকরণে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান। তাছাড়া কুলাউড়ায় পৌরসভায় বন্যাকবলিত মানুষের জন্য বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও মানুষ স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানিয় জলের তীব্র সঙ্কট। পৌরসভায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র উপযোগী অথবা একটি আলাদা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন।

মেয়র জানান, গত ২১ দিনে সরকারি ত্রাণ বলতে ১৪ মেট্রিক টন চাল ও ১২০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এজন্য তিনি সমাজের বিত্তবান, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে বানভাসি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী, সচিব ও কাউন্সিলারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews