ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতায় বাঁচার আকুতি প্রবাসে বন্দী যুবকের! ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতায় বাঁচার আকুতি প্রবাসে বন্দী যুবকের! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অস্ত্রধারীর গুলিতে মারা গেলেন নিউইয়র্ক পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড অবৈধ অনুপ্রবেশ- বড়লেখা সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক অদম্য মেধাবী : চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে দারিদ্রতা অনন্যার প্রতিবন্ধকতা নাগেশ্বরীতে বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নিটার ক্যাম্পাসে সমকামীতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরব অবস্থান  দিনে ‘অচল’ ড্রেজার রাতে সচল আত্রাইয়ে চুরি ও মাদক মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ৫ সংবাদ সম্মেলনে ওসমানীনগর বিএনপি : একটি মহলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতায় বাঁচার আকুতি প্রবাসে বন্দী যুবকের!

  • রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪

এইবেলা ডেস্ক ::  সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মো. রবিউল ইসলাম (২৩) লিবিয়ায় গিয়ে কঠিন বিপদে, রয়েছেন বন্দি ।  এ অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে তিনি একটি চিরকুটের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের আলোচিত এমপি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সহযোগিতা চেয়েছেন।লিবিয়ায় আটক যুবকের বাড়ী বিশ্বনাথ উপজেলার কারিকোনা গ্রাম। তার বাবার নাম মো. সিরাজুল হক।

সম্প্রতি রবিউল একটি চিরকুট লিখে তার বাবার বরাবরে পাঠিয়েছেন। এতে লেখা- ‘বাবা আমি রবিউল, আমি লিবিয়ার ত্রিপুলি মাতার জেলে আছি। আমার সাথে আরো ৬০ জন বাংলাদেশি। সবাই অনেক কষ্টে আছি। এখানে বেশিদিন থাকলে এমনি মরে যাব। এখান থেকে আমাদের দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করো। এখান থেকে আমাদের দেশে নিয়ে যেতে পারবে চুনারুঘাটের এমপি ব্যারিস্টার সুমন ভাই।’

রবিউল এর আগেও টুকরো টুকরো কাগজে আরও চারটি চিরকুট পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেগুলোতেও ব্যারিস্টার সুমনের কথা উল্লেখ করেছে ন তিনি।

রবিউলের পরিবার জানায়, রবিউল ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই বিমান যোগে দুবাই যান। সেখানে লিবিয়ার অধিবাসী জনৈক আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হলে গত ১৫ আগস্ট আব্দুর রহমান উন্নত চাকরির আশ্বাস দিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যান। লিবিয়ায় ৬মাস চাকরিও করেছেন রবিউল। সেখান থেকে ইউরোপে যেতে চাইলে বাংলাদেশি আহসান খান নামের এক দালালের হাতে রবিউলকে তুলে দেন আব্দুর রহমান। আহসান রবিউলের কাছে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করেন। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। এ খবর দেশে আসলে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য রবিউলের মা নাছিমা বেগম প্রথমে ২ লাখ টাকা প্রেরণ করেন। এ টাকা পেয়ে আহসান সন্তুষ্ট না হয়ে রবিউলকে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেন।

গত ১২ জুন লিবিয়ার বেলকাজি হতে রবিউলসহ ৬০ বাংলাদেশিকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি মাতার জেলে পাঠানো হয়। সেখানে চরম নির্যাতনের শিকার হয় রবিউল। দেড় মাস আগে রবিউল +২৭৬২১৪০৩৬৬২ নাম্বার থেকে তার মায়ের ইমু নাম্বারে একটি চিরকুটের ছবি তুলে পাঠান। এরপর রবিউলের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি পরিবারের।

ছেলের জীবন বাঁচাতে মা বাংলাদেশ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের নিকট লিবিয়ার জেল থেকে মুক্ত করতে আবেদন করেন। ড. মোমেন বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বরাবরে প্রেরণ করেন। গত ৪ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আটক রবিউলকে ফেরত আনতে লিবিয়া দূতাবাসে চিঠি পাঠান।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে রবিউলের মা নাছিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার ছেলেকে লিবিয়ার জেল থেকে উদ্ধারে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি ব্যারিস্টার সুমনের সাহেবের সহায়তা কামনা করছি। জেলে আটককৃতদের জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার না করলে তাদের করুণ পরিণতি ঘটতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews