এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, রাজনগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। অতি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মনু নদী ও অন্যান্য ছোট-বড় নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে একাধিক এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে পানি কমলেও হাকালুকি হাওর বেষ্টিত নিম্নাঞ্চলের ইউনিয়নগুলোর অনেক গ্রাম এখনও পানিবন্দি। এতে দুর্গত এলাকার লোকজন বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ও অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত এলাকার নলকূপগুলোতে পানি ঢুকে যায়। যার ফলে এসব এলাকায় বিশুদ্ধ সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়।
সরেজমিন হাকালুকি হাওর তীরবর্তী ভূয়াইবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বালতি, জগ, কলসি, হাড়ি-পাতিল নিয়ে পানিবন্দি লোকজন এসেছেন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে। এসব এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পানি শোধনাগার গাড়ির মাধ্যমে ফিল্টারিং করে নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ করছে। টিউবওয়েলগুলো নিমজ্জিত থাকায় শোধনাগারের গাড়ি থেকে ফিল্টারিং করা বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মহসিন ও সুমিত সিংহ জানান, হাওর তীরবর্তী এলাকায় বারো হাজারের অধিক টিউবওয়েল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় যেখানে নিরাপদ পানির সমস্যা আছে সেখানে ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে ফিল্টারিং করে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চলমান আছে। আর্সেনিক, আয়রন মুক্তকরণ ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে জলাশয় বা পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে বিশুদ্ধকরণ করা হয়। এসব পানি দুর্গত মানুষের মধ্যে সরবরাহ করছি। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ন্যাপকিন, জ্যারিকেন, নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ভুয়াইবাজার এলাকার বাসিন্দা রকিব মিয়া জানান, বন্যার পানিতে নলকূপটি পানিতে ডুবে রয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে এখানে এসেছি।##
Leave a Reply