রাজনগরে যুবলীগ নেতা মন্টুর আয়না ঘর! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় প্রবাসীর সাথে প্রতারণা- ফ্রান্সে নেওয়ার পর জানলেন নিজের স্ত্রী অন্যের, শ্বাশুড়ি শ্যালকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাতকের ‘শিখা সতেরো’—৫৪ বছরের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার জের- বড়লেখায় বিভিন্ন পয়েণ্টে বিজিবির বিশেষ টহল, তল্লাশি অভিযান বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কর্মবিরতি : জনভোগান্তি মৌলভীবাজারে সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে : নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ছাতকে ইউএনও তরিকুল ইসলাম বিদায় নতুন ইউএনও ডিপ্লোমেসি চাকমার যোগদান

রাজনগরে যুবলীগ নেতা মন্টুর আয়না ঘর!

  • শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

Manual1 Ad Code

রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::

জানালাবিহীন প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের ৭টি ঘর । ঘরগুলোর মালিক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। এগুলো মন্টুর টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের পানিশাইল (নিজগাঁও) এলাকায় এই টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।

Manual4 Ad Code

স্থানীয় লোকজনের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে গভীর রাতে কালো রঙের গাড়িতে করে লোকজন নিয়ে আসতেন মন্টু। চলে যেতেন ভোরে। সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মন্টু। তারই করা হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা তার আপন মামার জমি দখল করে আব্দুর রকিব মন্টু সেখানে তৈরি করেছে তার ‘টর্চার সেল’।

জানা যায়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রকিব মন্টু রাজনগরের পানিশাইল (নিজগাঁও) গ্রামে নিজের ও দখলকৃত সম্পত্তিতে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছের বাগান। সেখানে নিজের জমি ২ একর ৭ শতাংশ থাকলেও অন্যদের জমি দখল করে ভোগ করছেন মোট ২ একর ৪৭ শতাংশ। অভিযোগ রয়েছে, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থাকাকালে বসতবাড়িসহ পাশের সব জমি কেড়ে নিতে কেয়ারটেকারকে দিয়ে একের পর এক মামলা দিয়েছেন তারই আপন মামা পাশের জমির মালিক নুরুল ইসলাম কলা মিয়া (৮৩) ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। নিজের মামা কলা মিয়াকে জেলে পাঠিয়ে এই বাড়িটি দখলে নেন মন্টু।

 

গত ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর রাতের আধাঁরে নিজগাঁও কমিউিনিটি ক্লিনিকের পাশে আব্দুর রকিব মন্টুর সম্পত্তির কেয়ারটেকার আব্দুল মালেককে হত্যা করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই রাতেই বসতঘর থেকে পুলিশ গিয়ে নুরুল ইসলাম কলা মিয়া ও তার পরিবারের সব সদস্যদের ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মন্টু বাদী হয়ে রাজনগর থানায় ওই পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। কলা মিয়ার নাতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আজিজুর রহমানকেও গ্রেফতার করা হয় একই মামলায়। কলা মিয়ার পরিবারের সবাই কারাগারে থাকার সুযোগে তার বসতঘরসহ সব জমি দখলে নেন মন্টু। পরে কলা মিয়ার বসতঘরসহ নিজের জমির সামনের দিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। বাড়ির নাম দেন ‘বশির-রাবেয়া কটেজ’। ওই সীমানা প্রাচীরের ভেতরে নির্মাণ করেছেন একচালা টিনের আধাপাকা ৭টি আলাদা আলাদা ঘর। প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের রহস্যজনক এসব ঘরে নেই কোনো জানালা।

স্থানীয় লোকজন জানান, দিনের বেলায় কখনো এসব ঘর খুলতে দেখেন নি। তবে গভীর রাতে আব্দুর রকিব মন্টু লোকজন নিয়ে কালো রঙের গাড়িতে করে এখানে আসতেন আবার ভোরে বেরিয়ে যেতেন। তাকে স্থানীয়রা এতোটাই ভয় পেতেন যে প্রাচীরের ভেতরে যাওয়ার সাহস করতেন না।

পানিশাইল গ্রামের নান্নু মিয়া বলেন, আমরা ছোট থেকে দেখেছি কলা মিয়া এই বাড়িতে বসবাস করছেন। আমাদের এলাকায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় কলা মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা জেলে থাকার সময় মন্টু মিয়া তার বাড়ি ও জমিজমা দখল করে জানালাবিহীন আরো ৭টি ছোট ঘর বানিয়েছে। রাতের বেলায় এসব ঘরে মন্টু ও তার লোকজন আসতো। গ্রামবাসী মন্টুর ভয়ে এখানে আসতো না। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের ‘টর্চার সেল’ আয়নাঘরের মতো ব্যবহার করতো। এসব ঘর ভেঙ্গে দেখা দরকার তারা এখানে কি করতো।

Manual5 Ad Code

প্রায় আড়াই বছর পর চলতি বছরের জুন মাসে হত্যা মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে কলা মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা দেখেন বসতঘরসহ প্রায় ৪০ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছেন মন্টু। তাদের রেখে যাওয়া বড় বড় গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে। কলা মিয়ার জমিতে গড়ে তুলেছেন গাছের বাগান ও ঘর। মন্টু সীমানা প্রাচীরের ভেতরে তার জমিও ঢুকিয়ে নিয়েছেন।

ওই গ্রামের মানিক মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে মন্টু। কলা মিয়া যদি মার্ডার করে থাকেনও তাতে তার জমি ও বসতঘর মন্টুর হয়ে যেতে পারে না।

Manual5 Ad Code

মন্টুর মামা নুরুল ইসলাম কলা মিয়া বলেন, আমি ৭০ বছর এই বাড়িতে বসবাস করছি। আমার বোন ও বোনের ছেলেরা আমাকে স্থায়ীভাবে থাকতে এসব জমি আমার কাছে বিক্রি করেছেন বলে লিখে দিয়েছেন। সকল কাগজপত্র আমার থাকার পরও এই জমি কেড়ে নিতে বারবার মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছে মন্টু। পরে আর উপায় না পেয়ে সে নিজেই তার কেয়ারটেকারকে হত্যা করিয়ে আমার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে।

Manual7 Ad Code

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টুর মোবাইল ফোনে (০১৭১৬২০৮৯২০) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মো. মুবাশ্বির জানান, আমাদের পক্ষ থেকে ওই নুরুল ইসলামের পরিবারকে ঘরে থাকতে বাঁধা দেয়া হবে না। জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। টর্চার সেল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি। এ বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো।##

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!