কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতের গভীর রাতে জানালার গ্রীল কেটে গৃহকর্তার বাড়ীতে ঢুকে সকলের হাত-বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় গৃহকর্তার ছেলেকে মারধোর ও শ্বাসরোধে করে হত্যার পর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে সসস্ত্র ডাকাত দল। সোমবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড়
ইউনিয়নের দক্ষিণ নগরাজপুর গ্রামের সুপারী ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের বাড়ীতে ডাকাতির সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম হামিদুল উদ্দিন( আলেফ) এর বয়স(২৭)। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছানোয়ার হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও বাড়ীর মালিক শফি উদ্দিন জানায়, রাত দুইটার দিকে সাত-আটজন মুখোশ পড়া সসস্ত্র ডাকাত রান্না ঘরের জানালার গ্রীল কেটে বাড়ীতে প্রবেশ করে। বাড়ীতে ঢুকেই তারা শফি উদ্দিন তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে আলেফ উদ্দিন, আনিছুর রহমান এবং ছেলের বউ সোমাইয়া বেগমসহ সকলের হাত,পা ও মুখ বেঁধে মারধোর করতে করতে টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায় আছে দেখিয়ে দিতে বলে।
এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে রাখা ১০/১২ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার এবং মহিলাদের শরীরে থাকা স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাড়ী ওয়ালার ছেলে আলেফ উদ্দিন ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে বেদম মারধোর করে মুখে কাপড় গুজে দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার পরও আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে মারধোর করে নাক মুখ গলা চেপে ধরে হত্যা করে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। ডাকাতির ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।#
Leave a Reply