সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট থেকে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তার এম অভিযোগ উঠেছে কুলাউড়ার তিন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে সিলেটে এ চক্র প্রতারণা আসছে। এমন একজন প্রতারণার শিকার হয়েছেন আবুল ফজল নামের এক যুবক। লাভের আশায় প্রায় ১৭ লাখ টাকা ধার দিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন যুবক মোহাম্মদ আবুল ফজল (৪৮)। পাওনা আদায়ে নিরুপায় হয়ে আইনের দ্বারস্ত হয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তিন জনকে আসামি করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার বাসিন্দা সূর্য নারায়ণের ছেলে স্বপন কালোয়ার (৪৫), নিত্য রাও (৩৮) ও সঞ্জু রাও (৪৭)।
সিলেট নগরীর সওদাগরটুলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আবুল ফজল জানান, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার বাসিন্দা স্বপন কালোয়ার, নিত্য রাও ও সঞ্জু রাও গংরা এসি বিক্রি সার্ভিসিংয়ের কাজ করেন। তারা ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য লাভসহ টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে ২০২৩ সালে তিন কিস্তিতে মোট ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা ধার নেয়। পরে সেটির লভ্যাংশ দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা। পরবর্তীতে স্বপন কালোয়ার এ সংক্রান্ত একটি হ্যান্ডনোট প্রদান করেন ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামি স্বপন কালোয়ার ১২ লাখ টাকার এক্সিম ব্যাংক সিলেট শাখার একটি চেক প্রদান করেন। পরে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫’শ টাকা নগদ প্রদান করেন। সেই সাথে বাকি টাকা নগদে পরিশোধের আশ্বাস দেন। কথামতো টাকা না পেয়ে ওই চেক ব্যাংকে জমা দিলে ডিজঅনার হয়। এর পর থেকে এ প্রতারক চক্র লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদী আবুল ফজল অনেক খোঁজা খুঁজির পর তাদের পাওয়া গেলে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি নগরীর চারাদিঘীপারস্থ সিদ্দিক মিয়ার বাসায় সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে কুলাইড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান সওদাগরটুলার বাসিন্দা গোলজার আহমদ ও ফয়জুল হাসানের উপস্থিতিতে আসামিগন পাওনা টাকার কথা স্বীকার করেন। তারা তিন মাসে মধ্যে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ ও পরবর্তী প্রতি আড়াই মাস অন্তর অন্তর দুই লাখ টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। তবে আসামিগণ তারিখ মতো টাকা পরিশোধ না করায় ফের সালিশ বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে আসামিগণ সাতটি চেকে ১৬ লাখ ৫ হাজার টাকা লিখে জামানত হিসেবে দেন। পরবর্তীতে সময় মতো টাকা পরিশোধ না করায় বাদী টাকা চাইলে আসামিগণ অশালীন কথাবার্তা বলেন এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে বাদী গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক এবাদ উল্লাহ’র মোবাইল ফোনে জানান বাদীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
Leave a Reply