এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জবপুর (বেলুলির পার) মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাছিতের প্রায় ৩ একর জমি দখলে নিতে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ২৮টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার মধ্যে ২৭টি মিথ্যা মামলা হিসেবে খারিজ হয়েছে এবং একটি মামলা চলমান আছে।
মামলা জর্জরিত ইমাম বাছিত ১৯ জুলাই নিজ বাড়িতে গ্রামের অর্ধশতাধিক মুরুব্বীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকাবাসীসহ গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করে ঘটনার সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইমাম হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাছিত জানান, একই (সঞ্জবপুর) গ্রামের প্রভাবশালী এখলাছুর রহমান নামক ব্যক্তি সঞ্জবপুর মৌজার পুরাতন জেএল নং ১৪০, খতিয়ান নং ০৯ দাগ নং ৮২৬, ৮৩১, ৮৪০, ৮৪৩, ৮৪৪, ৮৫০, ৮৫৫, ৮৬৩, ৮৬৫, ৮৬৭, ৮৬৮ নং দাগের ২ একর ৬৩ শতক জমি দখল করতে ২০১২ সাল থেকে একের পর মিথ্যা মামলা দায়ের করতে থাকেন। মোট ২৮টি মামলা দায়ের করেন আদালতে। যার মধ্যে ২৭টি মামলা ইতোমধ্যে খারিজ হয়েছে এবং একটি মামলা চলমান আছে। জাল দলিলে মামলা করার কারণেই মুলত মামলাগুলো আদালতে খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে যে মামলাটি চলমান আছে তাও খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই এখলাছুর রহমান ১৯৯৮ সালে সঞ্জবপুর (বেলুলির পার) মসজিদের জমির জাল দলিল ও আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির জাল দলিল ব্যাংকে জমা দিয়ে সোনালী ব্যাংক কুলাউড়া শাখা থেকে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঋণ নেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে।
ইমাম হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাছিত আরও জানান, মামলায় হেরেও ক্ষান্ত হননি প্রভাবশালী এখলাচুর রহমান। তিনি বিভিন্নভাবে বল প্রয়োগ করে জমির ফসলি জমি কেটে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সঞ্জবপুর (বেলুলির পার) মসজিদ কমিটির সভাপতি আকবর আলী, সেক্রেটারি সৈয়দ কামাল হোসেন, সৈয়দ ইয়াজিদ আলী, ছবির মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, তোলা মিয়া, হাজি মো: ছৈদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল জলিল, হাজী মাসুক মিয়া, হাজী ছুরুক আলী, মো: আব্দুছ ছবুর, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য নবুয়ত আলী, কবির আহমদ ও মহব্বত মিয়া প্রমুখ।
সঞ্জবপুর (বেলুলির পার) মসজিদ কমিটির সভাপতি আকবর আলী, সেক্রেটারি সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন থেকে এই এখলাছুর রহমান মামলা দিয়ে হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাছিতকে হয়রানি করছেন। এলাকার মানুষ বিষয়টি অবগত আছেন। ইমামের মালিকানাধীন জমি জবর দখল করতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করায় পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ মুরব্বি শনিবার একত্রিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত এখলাছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।#
Leave a Reply