জুড়ীতে রেলওয়ের ভূমিতে লাইসেন্সবিহীন করাতকল – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার

জুড়ীতে রেলওয়ের ভূমিতে লাইসেন্সবিহীন করাতকল

  • রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০

Manual3 Ad Code

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে রেলওয়ের ভুমিতে চলছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ করাত কল। অবৈধভাবে করাতকলটি স্থাপন করেছেন জনৈক লতিফ খান। বনবিভাগ বিগত ৮ বছর ধরে বন্ধের নোটিশ দিলেও তিনি তা বন্ধ না করে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন। ২০ অক্টোবর অবৈধ করাতকলে এলাকাবাসীর, পরিবেশের ও বনাঞ্চলের ক্ষতিসাধনের একটি অভিযোগ তদন্ত করেছেন বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জিএম আবু বক্কর সিদ্দিক ।

জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার হামিদপুর গ্রামের লতিফ খান ২০১২ সালে মানিকসিং বাজারে রেলব্রীজ সংলগ্ন রেলওয়ের ভুমিতে অবৈধ স-মিল স্থাপন করেন। লাইসেন্সের আবেদন করলে করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ এর ৭(ক) ধারা অনুযায়ী স্থাপিত না হওয়ায় বনবিভাগ তাকে লাইসেন্স দেয়নি। বনবিভাগ বারবার করাতকল বন্ধের নোটিশ দিলেও লতিফ খান তা আমলে নেননি। ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী বন বিভাগের স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান লাইসেন্স না দেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে অবৈধ স্থাপিত স-মিলটি বন্ধের জন্য লতিফ খানকে চিঠি দেন। এরপরও বন্ধ হয়নি অবৈধ করাত কলটি।

Manual2 Ad Code

চলিত বছরের ১৯ আগষ্ট স্থানীয় বাসিন্দা লুজু খান বিভাগীয় বন সংরক্ষক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে লতিফ খান রেলওয়ের ভুমিতে অবৈধ করাতকল স্থাপন করায় এলাকার জনসাধারণের, পরিবেশের ও বনবিভাগের ক্ষতি সাধন করছেন।

বন বিভাগ সুত্র জানায়, বনবিভাগ লাইসেন্স না দেয়ায় তিনি ২০১২ সালে বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের ৫ পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন করেন। এ রীটের বলেই তিনি অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন।

Manual3 Ad Code

অভিযোগকারী লুজু খান জানান, রীটের সংযুক্ত কাগজপত্রে লতিফ খান করাত কলের ভুয়া তফশিল বর্ণনা দিয়েছেন। যে দাগে করাত কলের অবস্থান দেখিয়েছেন তা সঠিক নয়। তিনি ভুল তথ্য দিয়ে আদালতের সাথে প্রতারণা করেছেন।

Manual7 Ad Code

সহকারী বন সংরক্ষক জিএম আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, লতিফ খান লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে স-মিল চালাচ্ছিলেন। এটি বন্ধের জন্য বনবিভাগ লিখিতভাবে নোটিশ দিলে তিনি ২০১২ সালে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট করেন। সম্প্রতি বিভাগীয় বন সংরক্ষক বরাবরে স্থানীয় বাসিন্দা লুজু খান অভিযোগ করেন রেলওয়ের ভুমিতে স-মিলটি স্থাপিত। মহামান্য হাইকোর্টের রীটে লতিফ খান স-মিলের অবস্থানের যে দাগ, খতিয়ান উল্লেখ করেছেন তা সঠিক নয়। মুলত মহামান্য আদালতকে বিভ্রান্ত করে তিনি অবৈধ স-মিল চালাচ্ছেন। এছাড়া স-মিলটি এলাকাবাসীর, পরিবেশের ও বনবিভাগের ক্ষতি সাধন করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তিনি সরেজমিনে দু’জন সার্ভেয়ার নিয়ে এ অভিযোগের তদন্ত করেছেন। ১/২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন। উর্ধতন কর্তপক্ষ এব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

Manual2 Ad Code

অভিযুক্ত লতিফ খান জানান, তিনি রেলওয়ের কৃষিলীজের ভুমিতে স-মিল স্থাপন করেছেন। বনবিভাগ লাইসেন্স না দেয়ায় হাইকোর্টে রীট করেছেন। রীটে উল্লেখিত দাগ-খতিয়ানেই (খতিয়ান ৩) তার স-মিলটি রয়েছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!