সিলেট সংবাদদাতা ::

পূণ্যভূমি সিলেট নগরীতে পতিতাবৃত্তি নির্মুলে ভাসমান পতিতা ও তাদের দালালদের প্রতিরোধ জরুরী। তাই এইসব ভাসমান পতিতা ও তাদের দালালদের বিরুদ্ধে প্রসাশনের অভিযান চান নগরবাসী। ইতিমধ্যে সিলেটের পবিত্রতা রক্ষায় কঠোর ভূমিকায় নেমেছে পুলিশ। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কাজের অভিযোগে নারী-পুরুষ আটকের পাশাপাশি হোটেল গুলো সিলাগালা করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের এমন ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও নগরবাসীর অসন্তোষের কারণ ভাসমান পতিতাবৃত্তি। তারা আছে, তাদের দালালরাও আছে। ভাসমান পতিতাবৃত্তিও চলছে আগের মতই ।
চলিত বছরের অক্টোবর মাসে সিলেট মহানগরীর ৬টি আবাসিক হোটেল সিলাগালা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ। আর আটক করা হয়েছে ১৯ জন নারী ও পুরুষকে।
সরজমিনে দেখাযায়, প্রতিদিন সন্ধ্যার পরপরই আদালতপাড়া সংলগ্ন ফুটপাত, জালালাবাদ শিশু পার্ক, কিনবিজ্র উত্তরপ্রান্ত ও চাঁদনীঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভাসমান পতিতা ও তাদের দালালদের। রাত যত গভীর হয় ততই উৎপাত বাড়তে থাকে তাদের। তাদের খদ্দের খোঁজার ধরণে বিব্রত পথচারীরা। যে কাউকে বলে বসে লাগবে। যে এর অর্থ বুঝেন বা জানেন তিনি চলে যান। যিনি না জেনে জানার চেষ্টা করেন তিনি বিপদগামী বা বিপদে পড়ে যান।
তাদের দালালরা ছদ্মবেশে আশাপাশে থাকে। অনেক সময় এসব মেয়ে বা তাদের দালালরা নির্দিষ্ট ব্যক্তির পাশে গিয়ে আস্তে করে ‘লাগবোনি?’ ‘লাগলে আছে’- ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করে তাদের খদ্দের ধরে। শুরু হয় দরদাম।তারপর কৌশলে তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন নিরাপদ কোনো স্থানে চলে তাদের অসামাজিক কার্যকলাপ। তবে বেশীর ভাগ কাস্টমারই তাদের নিয়ে যায় নির্ধারিত অন্য কোনো স্থানে। আর যাদের তেমন কোনো স্থান নেই, তারা নিয়ে যায় পাশের সুরমা মার্কেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে। যাদের সেই সামর্থ্যও নেই, তারা নিয়ে যায় ওই মার্কেটের বিভিন্ন ফ্লোরের পরিত্যাক্ত ঘরে।
এদের মাধ্যমে অনেক সময় চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। আনাড়ি খদ্দেরদের নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র কৌশলে নিয়ে যায় ভাসমান পতিতাদের দালালরা। কখনো বা তারা নিজেই। তাছাড়া অনেক সময় এসব মেয়ের কারণে হই-হুল্লোড়, চিৎকার চেচামেচি বা অশ্লীল বাক্যালাপ, ঝগড়া বিবাদের কারণে আশপাশের পরিবেশও খারাপ হয়ে উঠে।
নগরীর ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ (৩৫) এ প্রসঙ্গে বলেন, ভাইরে ইবায় আওয়া যাওয়াত মাঝে অলা শরমো পড়তে অয়। ছোটো ভাই লগে হেদিন যাওয়ার পথে বেটি এগিয়ে আইয়া কয় – ‘লাগবোনি?’। খুব শরম পাইছি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলে তিনি প্রত্যুরে জানান, নিয়মিত দেখা হয়। কিনব্রিজের নিচে ও আশাপাশ এলাকার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোতোয়ালী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এদের ব্যাপারে প্রতিদিনই অভিযান হচ্ছে। কখনো কখনো আটক করা সম্ভব হয়, কখনো বা দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা তাদের ব্যাপারে সচেতন। আটক করা হলে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
এই চক্রের পেছনে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক। সচেতন নগরবাসীর দাবি, বর্তমান পুলিশ প্রশাসন এই নেটওয়ার্ক ভেঙে নাগরিক জীবনে স্বস্তি নিয়ে ফেরাবে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply