মাধবপুরে নতুন জাতের ধান চাষ,  উচ্চ ফলনে কৃষকের মুখে হাসি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় প্রবাসীর সাথে প্রতারণা- ফ্রান্সে নেওয়ার পর জানলেন নিজের স্ত্রী অন্যের, শ্বাশুড়ি শ্যালকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাতকের ‘শিখা সতেরো’—৫৪ বছরের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার জের- বড়লেখায় বিভিন্ন পয়েণ্টে বিজিবির বিশেষ টহল, তল্লাশি অভিযান বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কর্মবিরতি : জনভোগান্তি মৌলভীবাজারে সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে : নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ছাতকে ইউএনও তরিকুল ইসলাম বিদায় নতুন ইউএনও ডিপ্লোমেসি চাকমার যোগদান

মাধবপুরে নতুন জাতের ধান চাষ,  উচ্চ ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

Manual3 Ad Code

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি::

দেশের কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন কমছে অথচ জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই বাস্তবতায় কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবন করেছে দেশীয় নতুন উচ্চফলনশীল ধান ব্রি ধান-১০৩। স্বল্প জমিতে বেশি ফলনের কারণে ইতোমধ্যে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কৃষকদের মাঝে এই জাতটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে মাধবপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নাগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শতাধিক কৃষকের ১০০ একর জমিতে ব্রি ধান-১০৩ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক বধু মিয়া সহ শতাধিক কৃষক কৃষাণী, কৃষি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Manual7 Ad Code

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আকতারুজ্জামান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, কিন্তু এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হলে আমাদের উচ্চফলনশীল জাতের দিকে যেতে হবে। ব্রি ধান-১০৩ এমন এক জাত, যা মাত্র ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ফসল দেয়। এর ফলে কৃষক একই জমিতে বছরে তিন ফসল তুলতে পারেন, যা কৃষি অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে।” হবিগঞ্জ নাগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পার্থ সারথি বিশ্বাস বলেন, “ব্রি ধান-১০৩ জাতটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহনশীল এবং রোগবালাই প্রতিরোধী। এর ফলন একর প্রতি গড়ে ৭ টনেরও বেশি, যা প্রচলিত জাতের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া এর চাল ঝরঝরে, সাদা ও বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়।”

চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, “আমাদের এলাকায় কৃষকরা ব্রি ধান-১০৩ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এর ফলন দেখে অন্য কৃষকরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। সরকার যদি এই জাতটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়, তবে ধান উৎপাদনে নতুন বিপ্লব ঘটবে।”

Manual2 Ad Code

স্থানীয় কৃষক বদু মিয়া বলেন, “আগের জাতের ধানে যেখানে একরপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ ফলন পেতাম, এখন ব্রি ধান-১০৩ এ ৪০ মণেরও বেশি পেয়েছি। খরচও কম, ধানও ভালো মানের। এমন ফসল পেয়ে আমরা খুব খুশি।”

Manual6 Ad Code

এতে আরো বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ নাগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাহানা পারভীন। তিনি বলেন, “ব্রি ধান-১০৩ হলো আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এক সফল জাত। এটি খরা ও অতিবৃষ্টির প্রতিকূল পরিবেশেও ভালো ফলন দেয়। ভবিষ্যতে আমরা এই জাতের আরও উন্নত সংস্করণ তৈরি করছি, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করবে।

Manual7 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!