এইবেলা, রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
শীত শুরু হলেই উপদ্রব বাড়ে ডাকাত ও গরু চুরদের। প্রবাসী অধ্যুষিত এ এলাকাগুলোতে হরহামেশাই ঘটে ডাকাতি। বিশেষ করে শীত শুরু হলে যেন ডাকাতদের র্স্বণসময় শুরু। একটি ডাকাতির ঘটনা যেমন সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে দেয় তেমনি চাপ বাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপরও। জনসংখ্যার তুলনায় থানায় পুলিশের সংখ্যা একেবারেই নগন্য। তাই এবারের শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ডাকাতি ও গরু চুরি প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে পুলিশ। পুলিশি টহলের পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে পাহারা, বিভিন্ন হাটবাজারে পাহারাদারসহ মানুষদের তৎপর করার জন্য অভিনব পথ বেচে নিয়েছে পুলিশ।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ পিপিএমের (বার) উদ্যোগে জেলায় শুরু হয়েছে ‘পুলিশ জনতার যৌথ পাহারা’ কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে সদর সার্কেলের এএসপি জিয়ার রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও সাংবাদিকদের একটি টীম ঘুরে রাজনগর উপজেলার প্রতিটি বাজার ও গ্রামের পাহাদারদের সচেতন করার লক্ষ্যে। সোমবার দিবাগত রাত ১২. ১৫ মিনিটে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ৪টি গাড়ি প্রথমেই যায় উপজেলার কদমহাটা বাজারে। সেখানে পাহাদারদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতি ও বাজারের ব্যবসায়ীরাও ছিলেন। বাজারের পাহাদারদের রিফ্লেক্টিব বেল্ট ও গাউন দেয়া হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলেন এএসপি জিয়াউর রহমান। ডাকাতি, চুরি ও গরু চুরি প্রতিরোধে তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। খাবারের জন্য দেন বিস্কিটও।
এরপর মনসুরনগরের চৌধুরী বাজার, রাজনগর উপজেলা সদর হয়ে টিম চলে যায় মুন্সিবাজারে। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক মিয়াসহ শ’খানেক লোক। ডাকাতি ও চুরি প্রতিরোধে বাজারের পাহারাদারসহ আশেপাশের গ্রামের পাহারার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া। এসময় এসএসপি জিয়াউর রহমান বাজারের পাহাদারদের রিফ্লেক্টিব বেল্ট পরিয়েদেন। চুরি ডাকাতি প্রতিরোধে তাদেরকে আরো সচেতন ও তৎপর থাকার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। রাত ২ টার সময় মুন্সিবাজার থেকে গয়ারসপুর, ছোয়াবালী বাজার, উত্তরভাগ, বাঁধবাজার, কালারবাজার থেকে খেয়াঘাট বাজারে গিয়ে পাহাদার টিমের চলে সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
এসময় রাজনগর উপজেলার সাংবাদিকদের ছিলেন রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম, ওসি (তদন্ত) দেব দুলাল, উপপরিদর্শক আবু মুকসেদ পিপিএম, উপপরির্দশক বিনয় চক্রবর্তীসহ পুলিশের একটি টিম।#
Leave a Reply