রাজনগরে মানবপাচারের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানীর দাবি রাজনগরে মানবপাচারের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানীর দাবি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন যুবলীগ নেতা- বড়লেখায় জিম্মি রেস্টুরেন্ট খুলে দিলেন ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে পূবালী ব্যাংকের নতুন ভবনে যাত্রা শুরু কমলগঞ্জের শমশেরনগর : বিমান বাহিনীর ৫২ তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও  মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিবেশগত সমস্যা বিষয়ক প্রচারাভিযান কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের কোন্দল মেটালেন জেলা আহবায়ক জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের বন সংলগ্ন সরকরি জমি দখল করে ঘর নির্মাণ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কমলগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

রাজনগরে মানবপাচারের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানীর দাবি

  • শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

এইবেলা, রাজনগর ::

মৌলভীবাজারের রাজনগরে মানবপাচারের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করার দাবি করেছেন উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মো. কয়েশ আহমদ। একজনকে ফ্রান্সে নেয়ার ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেনের ’মিডিয়া’ হিসেবে তাকে রাখা হলেও এখন তাকে মানবপাচারকারী হিসেবে উল্ল্যেখ করে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। এতে ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক সম্মানহানী করা হচ্ছে বলে রাজনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মো. কয়েশ আহমদ বলেন, গত ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের লিয়াকত মিয়া লেবু তার মেয়ে খাদিজা আক্তার সীমাকে ফ্রান্সে তার স্বামীর কাছে পাঠানোর জন্য সিলেট সদরের বোরবোরিপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমান সুজনের সাথে কথা বলেন।

তাদের দুইপক্ষের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় আলাপ-আলোচনা ও লেনদেনের ‘মধ্যস্ততাকারী’ হিসেবে মো. কয়েশ আহমদকে রাখেন।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লিয়াকত আলী লেবুর মেয়েকে ভারতে নিয়ে গিয়ে ফ্রান্সের ভিসা পাসপোর্টে লাগানোর পর কয়েশ আহমেদের কাছে গচ্ছিত রাখা ১৪ লক্ষ টাকা হাবিবুর রহমান সুজনকে দেয়ার কথা ছিল। পরে ভারতে যাওয়ার কয়েকদিন পর খাদিজা আক্তার সীমা ও তার দেবর রায়হান আহমদ ফ্রান্সের ভিসা পাসপোর্টে লাগানো হয়েছে বলে কয়েশ আহমদকে জানান।

ভিসা হয়ে যাওয়ার পর হাবিবুর রহমান সুজনের দেয়া তিনটি একাউন্টে ১৪ লাখ টাকা জমা দেন তিনি। এ সময় লেবু মিয়াও সঙ্গে ছিলেন। পরে ফ্রান্সে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত অফিসাররা ভিসাটি জাল বলে শনাক্ত করেন। বিষয়টি জানার পর কয়েক দফা চেষ্টা করেও হাবিবুর রহমান সুজনের কাছ থেকে কেনো সদুত্তর না পাওয়ায় এবং লিয়াকত আলী কর্তৃক বারবার টাকার জন্য হুমকি-ধমকি দেয়ায় মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন বলে তিনি জানান।

মূলত দুইপক্ষের লেনদেনে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে তাকে রাখা হলেও গত ১৬ নভেম্বর রাজনগর প্রেসক্লাবে খাদিজা আক্তার সীমার দেবর রায়হান আহমদ তার বিরোদ্ধে ‘মানবপাচারকারী’ আখ্যায়িত করে অভিযোগ আনেন। এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তিনি বলেন, ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক সম্মানহানী করতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কয়েশ আহমদ বলেন, হাবিবুর রহমান সুজনের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের সর্দারপাড়া এলাকায়। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিলেট সদরের বোরবোরিপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews