আত্রাইয়ে গো-খাদ্য সংকটে কৃষক ও খামারীরা দিশেহারা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইউটিউব দেখে আত্রাইয়ে মাশরুম চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে “শাহাজাদী” কুড়িগ্রামে ছাত্রাবাস থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার রাজস্ব তহবিলের অর্থ আত্মসাত- বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা বড়লেখায় নবপল্লব প্রকল্পের ‘প্রকল্প অবহিতকরণ’ সভা একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

আত্রাইয়ে গো-খাদ্য সংকটে কৃষক ও খামারীরা দিশেহারা

  • রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

Manual7 Ad Code

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) ::

Manual1 Ad Code

নওগাঁর আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উচ্চ মূল্য দিয়ে খর কিনে গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। এতে করে এলাকার হাজার হাজার কৃষক ও গো-খামারীরা হিমসিম খাচ্ছে। অনেকে গো-খাদ্য সংকটের কারনে গরু ছাগল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

Manual5 Ad Code

জানা যায়, এ বছর পর পর দু’বার ভয়াবহ বন্যায় আত্রাইয়ের কোন মাঠে আমন ধানের চাষ হয়নি। অন্যান্যবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হতো। এর মধ্যে মনিয়ারী, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমান জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়। আর এসব ধানের খর এলাকার গো-খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশে অন্যান্য জেলায় এ খরগুলো বিক্রি করা হতো। কিন্তু এবারের ভয়াবহ বন্যায় আমন ধানের চাষ না হওয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে জেলার যেসব থানায় আমন ধানের চাষ হয়েছে ওই এলাকা থেকে উচ্চ মূল্য দিয়ে খর কিনতে হচ্ছে কৃষক ও গো-খামারীদের। প্রতিদিন সেই কাকডাকা ভোরেই ভ্যানযোগে গো-খাদ্য নিয়ে হাজির হন উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ ব্রিজে। আর মুহুর্তের মধ্যেই এগুলো বিক্রি হয়ে যায় খামারী ও কৃষকদের কাছে।

ভ্যানযোগে আত্রাইয়ে খর বিক্রি করতে আসা রাণীনগর উপজেলার জলকৈ গ্রামের ইদ্রিস আলী ও উজলপুর গ্রামের কেরামত আলী বলেন, আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে। এ জন্য আমরা প্রতিদিন সকালে খর বোঝাই ভ্যান নিয়ে এখানে আসি। রাণীনগর এলাকায় আমন ধানের চাষ হওয়ায় সেখানে পর্যাপ্ত পরিমান খর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ওই এলাকার কৃষকের কাছ থেকে খর কিনে এখানে নিয়ে আসি। প্রতি ভ্যান খর ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রয় হয়। এতে আমরা বেশ লাভবান হই।

Manual5 Ad Code

আত্রাই উপজেলার জামগ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, আমন ধানের খরের উপর ভরসা করে আমরা ইরিবোরো ধানের খর ওই সময় বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের সকল ভরসা ম্লান হয়ে গেছে ভয়াবহ বন্যায়। না পেলাম ধান, না পেলাম খর। এ যেন আম-ছালা দু’টাই হারালাম। আমাদের অঞ্চলে আমন ধান না হওয়ায় উচ্চ মূল্য দিয়ে খর ক্রয় করতে হচ্ছে।

Manual2 Ad Code

শাহাগোলা গ্রামের সোহেল হোসেন বলেন, যে খর আগে কিনতাম ৫০০ টাকায় সেই খর এবার কিনতে হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। এতে করে গরু ছাগল প্রতিপালন আামদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!