মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের আবদা গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গরম পানি দিয়ে অনামিকা দেব নামের এক গৃহবধূর শরীর ঝলসে দিয়েছেন তাঁর স্বামী সঞ্জিদ কান্তি নাথ । গুরুতর অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এ গৃহবধূ।
সোমবার ২১ ডিসেম্বর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় কাতরাচ্ছেন অনামিকা দেব । শরীরের অর্ধেক অংশ কাপড়ে ঢাকা। পিঠ,গলাসহ যেটুকু আবরণহীন তার পুরোটাই ঝলসে গেছে ।
অনামিকা জানান, সঞ্জিদ কান্তি নাথ গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাপের বাড়ি থেকে কিছু টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দেন। অনামিকা টাকা এনে দিতে পারবেননা বলে জানালে তখন বেশ রেগে গিয়ে গালাগাল শুরু করেন সঞ্জিদ। একপর্যায়ে ছুটে এসে চুলা থেকে গরম পানির কেটলি তুলে তার শরীরে ঢেলে দেন। পরে আমি বাড়ি থেকে একরকম পালিয়ে হাসপাতালে আসি।
তিনি আরও জানান,২০১৫ সালে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার বাবার বাড়ি থেকে সোনা গহনা বিক্রি করে স্বামীকে সিএনজি কিনে দেই। এরপরও বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মারধর করতো তাকে। এছাড়াও ননদ লাকি রানী দে এবং ননদের স্বামি সঞ্জদি দে আমার স্বামীকে সব সময় খারাপ পরামশ দিয়ে আমার উপর নির্যাতন চালাতো।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে একটি অভিযোগ থানায় এসেছে, তদন্ত করে আইনআনুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply