কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সিএনজি অটোরিক্সা চালক জলিল মিয়া হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩নং আসামী কমলগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিতকে মৌলভীবাজার থেকে আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। আটক পৌর কাউন্সিলর সিএনজি চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামী কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শফির ছোট ভাই। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
জলিল হত্যাকান্ডের আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে গত ১৩ মার্চ তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সহ¯্রাধিক সিএনজি চালক ও পরিবহন শ্রমিক। একই দাবীতে ২২ মার্চ সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসুচীর ঘোষনা দিয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলার সিএনজি-অটোরিক্সা চালক সমিতি, বাস, ট্রাক লরী সমিতি।
কমলগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, পলাতক থাকা পৌর কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিতকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের নির্দেশে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে রোববার ভোর রাতে মৌলভীবাজার শহর থেকে সিএনজি চালক জলিলের হত্যা মামলার ৩ নং আসামী গোলাম মুগ্নি মুহিতকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক মুহিত মামলার প্রধান আসামী কমলগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফির ছোট ভাই। আরেক ছোট ভাই জেলা যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া তৈমুর মামলার ২নং আসামী।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, রোববার ভোর রাতে নিহত সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়া হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩নং আসামী কমলগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নী মুহিতকে মৌলভীবাজার শহরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস ভর্তি নিয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফির সাথে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার পর ছুরিকাঘাতে সিএনজি-অটো চালক জলিল মিয়া খুন হন। #
Leave a Reply