এইবেলা, সিলেট ::
সিলেটের হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারের খাদিম মামুন রশিদ সহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও শাহপরাণ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. বেলাল আহমদ। মামলা গ্রহণ করে আদালত তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী মো. বেলাল আহমদ জানিয়েছেন, ‘গত ১৩ই এপ্রিল রাতে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় মাজারের দখলদার খাদিম মামুনুর রশীদ ও তার লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা অকথ্য নির্যাতন করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।’
তিনি জানান, ‘শাহপরাণ (রহ.) মসজিদে হাফেজ নিয়োগকে কেন্দ্র করে রমজানের আগে উত্তেজনার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। এ নিয়ে শাহপরান (রহ.) থানায় জিডি দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ায় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।’ মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছে- খাদিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনা মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া, মৃত টেকই মিয়ার ছেলে কুনু মিয়া, কামাল আহমদের ছেলে জিহান, জাহিন, ফরিদ মিয়ার ছেলে রায়হান, মৃত তারা মিয়ার ছেলে আজিজ, আহাদ, মৃত রূপা মিয়ার ছেলে রঞ্জু, কটই মিয়ার ছেলে জামাল, মৃত পাগলা তোতার ছেলে ছাদিক ও জাবেদ, মৃত রূপা মিয়ার ছেলে আব্দুন নূর, মৃত তারা মিয়ার ছেলে আহমদ, মৃত কটই মিয়ার পুত্র আমাল, মৃত সোনা মিয়ার ছেলে কাবুল।
মামলার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গত ২০শে এপ্রিল সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে গত ২৯শে এপ্রিল আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিলেট পিবিআইকে প্রেরণ করেছেন। আগামী ২৭শে মে’র মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শাহপরান এলাকার যুবলীগ নেতা বদরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুসল্লি বেলাল আহমদের ওপর হামলা চালিয়ে মাজারের দখলদার মামুনুর রশীদ ও তার লোকজন নিজেরাই তাদের চাঁদা আদায়ের গদিঘর, দানবাক্স ভেঙে লুটপাট ও চাঁদাবাজির নাটক সাজিয়েছে। পূর্বের এলাকাবাসীর জিডি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ এলাকার মুসল্লিদের বিরুদ্ধে সাজানো ঘটনায় মামলা নিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply