জুড়ীর ভবানীগঞ্জ বাজারে সওজ ভুমিতে অবৈধ দোকানপাট রমরমা চাঁদাবাজি বাণিজ্য জুড়ীর ভবানীগঞ্জ বাজারে সওজ ভুমিতে অবৈধ দোকানপাট রমরমা চাঁদাবাজি বাণিজ্য – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে

জুড়ীর ভবানীগঞ্জ বাজারে সওজ ভুমিতে অবৈধ দোকানপাট রমরমা চাঁদাবাজি বাণিজ্য

  • শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি ::

জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জবাজারটি শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। সওজ’র মালিকানাধীন জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাটে দেদারসে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। পাশাপাশি চলছে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি। এ স্থানকে ঘিরে স্বার্থ জড়িত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে মামলাও চলছে একটি। মামলার বাদী বিবাদীগণ বিষয়টিকে মৌলভীবাজার বিচারিক আদালত পর্যন্ত নিয়েছেন। এমনকি এখানে দোকানের বিষয় নিয়ে মারামারি, সংঘর্ষও হয়েছে। উভয়পক্ষই থানায় মামলা রেকর্ড করিয়েছেন। দখলিয় ভুমির অবৈধ দোকানপাটের পজিশন বিক্রি হয় স্ট্যাম্পে। নেই কোনো কর্তৃপক্ষ। যিনি বসে আছেন তিনি ছেড়ে যাবেন, আর যিনি ব্যবসা করবেন তিনি এই পজিশনে বসে দোকানদারি করবেন। এক একটি দোকানের পজিশন বিক্রি করা হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকায়।

অনুসন্ধানে জানা যায় উত্তর ভবানীপুর মৌজার জে.এল নং-২২, আরএস খতিয়ান নং-৩ এর ৩৩৭নং দাগে ২৮ শতক ভূমিতে স্থাপিত ১২০ টি দোকানের মাসিক ভাড়া চার হাজার টাকা করে দিতে হয় দোকানিদের। কিন্তু এই টাকা যায় কোথায় কোনো দোকানিই তা বলতে পারেন না। এমনকি ভবানীগঞ্জবাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৌলানা আব্দুল মোহাইমিন মুহিনও জানেন না দোকানদারদের ভাড়ার টাকাগুলো যায় কোথায় ? প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। অথচ কেউ জানে না টাকাগুলো যায় কোথায়। সরকারি ভূমির পজিশন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন দু’জন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। জুড়ী থানা থেকে উভয়কে ৫৪ ধারায় নোটিশও দেয়া হয়েছে। এতসব ঘটে গেলেও এর দায় নিতে চান না কেউই। রহস্য খোঁজতে গিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে জায়েদুল ইসলাম জায়েদ নামের এক ব্যক্তি একটি পোল্ট্রি দোকানের পজিশন আব্দুর রউফ নামের এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে তাকে পজিশন বুঝিয়ে না দিয়ে নানারকম টালবাহানার মধ্যে সময় পার করে। ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর গোপনে আব্দুল খালেক নামের অপর পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর নিকট ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৬ শত ৮২ টাকায় বিক্রি করে দেয়। সেদিন থেকে রউফ ও খালেক সরকারি ভুমির অবৈধ পোল্ট্রি দোকানের পজিশন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায়। এখন আদালতই ফায়সালা করবেন কে প্রকৃত মালিক সওজ, নাকি আব্দুর রউফ অথবা আব্দুল খালেক।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews