জুড়ী প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফূলতলা ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের নিরীহ এক পরিবারের উপর হামলা, ঘরদরজা ভাংচুর, টাকা ও মোবাইল ফোন লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ৪ মে বুধবার বিকেলে ওই গ্রামের রমজান আলী বাবুর্চির বাড়ীতে পূর্ব-শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী রইছ আলীর পুত্র মখদ্দছ আলী (৩৫), মখলিছ মিয়ার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩০), মালিক মিয়ার পুত্র জুমন মিয়া (২০), মোবারক আলীর পুত্র শিবলু মিয়া (৩৮), মখলিছ মিয়ার পুত্র লাভলু মিয়া (২২), মোবারক আলীর মেয়ে সিউটি বেগম (২৫) সহ ১৫/২০জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে নিরিহ পরিবারটির উপর হামলা চালায়।
এসময় হামলাকারীরা রমজান আলীর টিনের ঘর-দরজা ভাংচুর এবং পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এতে রমজান আলী ও তার স্ত্রী সাহানা বেগম গুরুতর আহত হন। তাদের আর্তচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে শাহানা বেগমকে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শাহানা বেগমের স্বামী রমজান আলীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা প্রতিবেশী খলিল মিয়ার শিশু পুত্র তারেকের উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। এতে শিশু তারেকের একটি চোখে মারাত্মক জখম হয়েছে। হামলা, মারধর ও ভাংচুরের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে কোনাগাঁও গ্রামে গেলে রমজান আলীর স্ত্রী শাহানা বেগম বলেন, হামলাকারী মখদ্দছ গংদের সাথে তাদের পূর্ব থেকে বিরোধ চলছিলো। হামলাকারীরা হামলা চালিয়ে ঘর-দরজা ভাংচুর করে একটি মোবাইল ফোন এবং ঘরে রক্ষিত ৫০ হাজার টাকা লুটকরে নিয়ে গেছে। ওই টাকাগুলো বিদেশ থেকে তার মেয়ে পাঠিয়েছিল। টাকাগুলো শাহানা বেগম ঘরের নির্মাণ সামগ্রী ক্রয়ের জন্য রেখেছিলেন বলে জানান। মখদ্দছ দলবল নিয়ে পূর্বেও তাদের উপর একই কায়দায় হামলা চালায়। পরে জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মখদ্দছ গংদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে শাহানা বেগমের পরিবারকে দেয়া হয়।
প্রতিবেশী মাহবুব, আতিক, হাবিবুর রহমান সহ আরও অনেকেই জানান নিরীহ রমজান আলীর বাড়ীতে হামলার খরব পেয়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করলে মখদ্দছ গংরা চলে যায়। তারা আরও জানান, মখদ্দছের বড়ভাই তবারক আলী প্রতিবেশি মছদ্দর আলী হত্যা মামলায় যাবৎজীবন সাজাভোগ করছে। মখদ্দছ গংদের অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। ভুক্তভোগী রমজান আলী জানান, এবিষয়ে তিনি আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Leave a Reply