ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতানিধি :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় নৌকাডুবির ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বুড়িকিয়ারি বিলে নৌকাডুবীর এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার ছত্তিশ গ্রামের দুবাই প্রবাসী সেজু মিয়ার কন্যা নুসরাত ফেরদৌস রিমু (১২)। সে উপজেলার ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে ছত্তিশ গ্রাম থেকে বিদ্যালয়ে আসার জন্য খোলা নৌকায় প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী রওয়ানা দেয়। ফেঞ্চুগঞ্জ ডাক বাংলার পার্শ্ববর্তী পিটাইটিকর গ্রামের বুড়িকিয়ারি বিলে আসার পর হঠাৎ করে নৌকাটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে আশপাশের স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করতে তৎপরতা চালান। সবাইকে উদ্ধার করা গেলেও তলিয়ে যায় নুসরাত ফেরদৌস রিমু।
খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে এর আগেই স্থানীয় জেলেরা জাল দিয়ে খোঁজে রিমুকে উদ্ধার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে পরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
উদ্ধারকারী স্থানীয় যুবক সুয়াদ মিয়া ও শুকুর মিয়া নৌকাটা পার থেকে বেশি দূরে ছিল না। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা পানিতে নেমে সাঁতরে তাদের উদ্ধার করতে যাই। ছাত্রীরা পানিতে পড়ে ভয়ে এলোমেলো হয়ে যায়। পিঠের স্কুল ব্যগের জন্য অনেকেই সাঁতরাতে পারছিল না। আমরা একজন দুইজন করে টেনে ও নৌকা দিয়ে তীরে তুলছিলাম। সবশেষে জানলাম একজন নিখোঁজ আছে। আমরা জাল ফেলে নিখোঁজ রিমুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এমাজুর রহমান রিপন জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী বদরোদ্দোজা বলেন আমরা মৃত রিমুর সকল অাইনি কাজ সম্পন্ন করে রেখেছি। ফেরদৌস রিমু পিতা সেজু মিয়া তার এক মাত্র কন্যাকে দেখতে আজ দেশে আসছেন। সেজন্য আজ জানাযা সম্ভব হচ্ছে না। কাল তার পিতা আসার পর জানাযা সম্পন্ন হবে।
Leave a Reply