ওসমানীনগর প্রতিনিধি :: সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য, সিলেট জেলা সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত কমরেড আফরোজ আলী স্বরণে ওসমনানীনগরে নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নাগরিক কমিটির আয়োজনে শনিবার (২০ আগস্ট) বিকালে উপজেলার মঙ্গলচন্ডী নিশিকান্ত সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়।
নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন.সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জাম চৌধুরী জগলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক শাকির আহমদ শাহিন, ইমরান আহমদ সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এনামুল হক সরদার, বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদি, সাম্যবাদী দলের নেতা মোহা মোশাইদ, ধীরেন সিং, নিবাস চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামিম আহমদ ভিপি, উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক, উসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান উয়ালি উল্যাহ বদরুল, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, কমরেড ইরশাদ আলী, গনফোরাম নেতা নির্মল ধর রুনু।
উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আহমদ বহলুল ও সমাজসেবী আব্দুস ছালামের পরিচালনায় স্বৃতিচারণ মূলক বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, মঙ্গলচন্ডী নিশিকান্ত সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদ হাসান, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিমা সুলতানা সুমি, বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক ছুরাব আলী, তাজপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক জি এস নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দিলদার আলী, যুবলীগ নেতা মঈন উদ্দিন মোহন প্রমুখ। সভার শুরুতে কমরেড আফরোজ আলীর আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় আফরোজ আলীর কন্যা উমাইয়া জাকিয়া পুতুলের আবেগ প্রবন বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই আপ্তপ্ত হয়ে পড়েন। বক্তব্যে পিতার নানা অসম্পর্ন কাজের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার পিতা অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন, আমাদের জন্য কিছু রেখে যাননি, তাতেও আমাদের দুঃখ নেই কিন্তু আমার পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হয়েও মুক্তিযুদ্ধার স্বিকৃতি পাননি। আমরা মুক্তিযুদ্ধার কোনো সেবা গ্রহন করবো না। শুধু নামের আগে মুক্তিযুদ্ধাটা লিখা চেয়েছিলেন তিনি।
সভায় বক্তারা বলেন, কমরেড আফরোজ আলী ছিলেন খাঁটি দেশপ্রমিক ও সৎ এবং দক্ষ রাজনিতিবিদ। নিজ এলাকার মানুষের সংকটে আন্তরিকতার সাথে সব সময় তিনি পাশে ছিলেন। ১৯৬২ সালে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসাবে শরিফ কমিশিন বাতিলের আন্দোলনের অংশগ্রহন করে তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন। পর্যায়ক্রমে কৃষক আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন অকপটে। আইয়ুব বিরোধী গন অভ্যুথান ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং পরবর্তীকালে মওলানা ভাসানীর ডাকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেন তিনি।
প্রসংগত: বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কমরেড আফরোজ আলী ১৯৪৭ সালের ২৮ জুলাই সিলেটের (বর্তমান)ওসমানীনগর উপজেলার খাশিকাপন গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এবং চলতি বছরের ২৮ জুলাই একটি বেসকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Leave a Reply