এইবেলা, বিয়ানীবাজার::
সিলেটের বিয়ানীবাজারের বৈরাগীবাজারস্থ ঐতিহ্যবাহী বাউল সংগঠন পল্লী বাউল লোক সংগীতালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ৩ নভেম্বর রাত ৮ ঘটিকায় সংগঠনের অফিসে মনোরম পরিবেশে উদযাপিত হয়। সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক এস.এম মানিকের সভাপতিত্বে এবং বৈরাগীবাজার আদর্শ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক এনামুল কবিরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেতা সরওয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ রাসেল স্মৃতি পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন ও কবি মো. শহীদ-উল ইসলাম প্রিন্স, ব্রাজিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বড়লেখা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন চৌধূরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জুড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম ইমন, ৫নং কুড়ার বাজার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ম্যানেজার আব্দুর রহিম, বিয়ানীবাজার পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন, রফিক উদ্দিন, জামাল খাঁন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল হামিদ, লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হামিদ সুমন, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা তাহের আহমদ প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অত্র সংগঠনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সরওয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের ভালোবাসেন বলেই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীতে মঞ্চসারথী আতাউর রহমানকে স্থান দিয়েছেন। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিক বান্ধব সরকার। আমিও অত্র সংগঠনসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিককর্মীদের পাশে আছি এবং থাকবোও। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোঃ শহীদ-উল ইসলাম প্রিন্স বলেন, সাংস্কৃতিক বান্ধব মনোভাব ছাড়া কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রকৃত রাজনৈতিক ব্যক্তি হতে পারবেন না। তিনি আরোও বলেন, সাংস্কৃতিককর্মীরা লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকেই দেশের মানুষের কল্যাণে সর্বক্ষণ কাজ করছে। মানুষের সেবা ও ভালোবাসাতেই সাংস্কৃতিকরা তৃপ্তি পায়। আলোচলা সভাশেষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে সংগঠনের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়। পরিশেশে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী এস.এম মানিক, তপন চৌধূরী, বাউলা তপু, বদরুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম ইমন, এনামুল কবীর। যন্ত্রে সহযোগীতা করেন মোঃ শহীদ-উল ইসলাম প্রিন্স, সাব্বির আহমদ।
Leave a Reply