বিশেষ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফর নগর ইউনিয়নের বেলাগাও গ্রামের মৃত মকবুল মিয়ার ৩য় কন্যা কুলসুম আক্তার কলি। ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে কুলসুম ৩য়। সংসারে অভাব অনটন থাকায় কুলসুম বিয়ানীবাজারে এক লন্ডন প্রবাসীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। বিয়ানীবাজার থেকে কুলসুম পিত্রালয়ে আসা যাওয়ার পথে ২৫ বছর পুর্বে একই গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ৪র্থ পুত্র ঢাকার বাড্ডায় বসবাসরত মোহাম্মদ আলীর সাথে পরিচয় হয়। এ পরিচয় এক সময় পরিনয়ে গড়ায়। স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান থাকার পরও প্রথম স্ত্রী মোমেনা খাতুনের অসম্মতিতে সুন্দরী কুলসুকে জীবন সঙ্গী করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ আলী। কুলসুমের পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলে মোহাম্মদ আলী কুলসুমকে বিয়ে করে ঢাকার বাড্ডার বাসায় নিয়ে যান।
বিয়ের পর ভাগ্য খুলতে থাকে কুলসুমের। এক সময় কুলসুমের লুলোপ দৃষ্টি পরে মোহাম্মদ আলীর সম্পদের উপর। কুলসুম ষড়যন্ত্র শুরু করে কিভাবে মোহাম্মদ আলীর প্রথম স্ত্রীকে বাসা থেকে বিতাড়িত করা যায়। তার ষড়যন্ত্র একসময় সফল হয়। মোহাম্মদ আলী দ্বিতীয় স্ত্রীর কথামতো প্রথম স্ত্রী মোমেনা খাতুনকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বিতাড়িত করেন।
পরে কুলসুম স্বামী মোহাম্মদ আলীর সেবাযত্ন করে মন জয় করে নিয়ে বাড্ডার বাসসহ ১২ শতাংশ ভুমি নিজের নামে লিখে নেয়। যার আনুমানিক মুল্য ২ কোটি টাকা। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি কুলসুম। ঢাকার বাসা নিজের নামে লিখে নেওয়ার পর মোহাম্মদ আলীর প্রথম স্ত্রীর সন্তান অপু ও দিপুকে পুলিশ এনে বাসা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। অপু বর্তমানে জুড়ীতে রিক্সা চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করছে। দিপু ঢাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছে।
২য় স্ত্রী কুলসুম আক্তার কলির পরামর্শে জুড়ীর বেলাগাওয়ে মোহাম্মদ আলীর পৈত্রিক সম্পত্তির বেশিরভাগই তার নামে লিখে দেয়।
সরেজমিনে জানা গেছে,বেলাগও গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর চার পুত্র ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। মোকছেদ আলীর মৃত্যুর পর ছেলেরা বোন মরিয়ম বেগম, নুরজাহান বানু ও জমিলা বেগমকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে গত সেটেলমেন্ট জরিপের সময় পুরো জমিজমা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তাদের নামে মাঠ পর্চা করিয়ে নেয়। ওই সময়ে বোনদের পক্ষ থেকে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ দায়েরের পর বোনদের জমি বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে মোহাম্মদ আলী ভাইদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিলে বোনেরা অভিযোগ তুলে নেয়। পরে মোহাম্মদ আলী তার মেজো বোন জমিলা খাতুনকে ১৯ শতক জমি ২০১২ সালে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রি করে দেন। জমিটি ২০১৬ সালে কুলসুম তার নামে আরো একটি জাল দলীল তৈরী করে তার বলে এলাকায় প্রচার চালাতে থাকে। সম্প্রতি মোহাম্মদ আলী মৃত্যু বরন করলে চলতি বছরের ১৩ মার্চ কুলসুম লোকজন নিয়ে জমিটি দখল করতে যায়। তখন জমিলা বেগমের পক্ষ থেকে জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ ঘটনা স্থলে ছুটে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দখল কারীরা পালিয়ে যায়।
মুঠোফানে যোগাযোগ করা হলে,অভিযুক্ত কুলসুম আক্তার কলি বলেন, আমি একজন সহজ সরল মানুষ। আমার স্বামী আমার প্রতি খুশি হয়ে ঢাকার বাসাসহ জায়গা জমি আামার নামে লিখে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন তিনি কোন জাল দলিল করেননি। তার স্বামী কতৃক ১ম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পেছনেও তার কোন ষড়যন্ত্র ছিলনা। ১ম স্ত্রী সন্তানদের তিনি বাসা থেকে বের করেননি। স্বেচ্ছায় তারাই বাসা ছেড়ে দিয়েছে। কুলসুম স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে তিনি কখনও কাজের বুয়া ছিলেননা। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply