জুড়ীতে নৌকাবাইচ ট্রাজেডির ৩৭ বছর – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার

জুড়ীতে নৌকাবাইচ ট্রাজেডির ৩৭ বছর

  • শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

Manual4 Ad Code

এইবেলা, জুড়ী ::

Manual4 Ad Code

২২ আগস্ট জুড়ীতে নৌকাবাইচ ট্রাজেডির ৩৭ বছর। ১৯৮৩ সালের এই দিন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের কামিনীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কন্টিনালা নদীতে নৌকাবাইচ চলাকালে মানুষের চাপে কন্টিনালা নদীর ওপর মেরামতাধীন জুড়ী-ফুলতলা সড়কের কামিনীগঞ্জ বাজার সেতু ভেঙ্গে পড়ে প্রায় ১০ জন নিহত ও অগুণিত মানুষ আহত হন। নিখোঁজ হন অসংখ্য মানুষ।

Manual7 Ad Code

জানা যায়, এক সময় স্থানীয় ফখর উদ্দিন ও রজব আলীর উদ্যোগে জুড়ী নদীতে প্রতি বছর নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হতো। দুর-দুরান্ত থেকে আগত বাহারী সাজে সজ্জিত অসংখ্য নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিত। হাজার হাজার মানুষ নৌকাবাইচ দেখতে এখানে আসতেন। নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে এ সময় স্থানীয়দের মাঝে উৎসব আমেজ বিরাজ করতো।

Manual6 Ad Code

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ২২ আগস্ট রোববার অনুষ্টিত প্রতিযোগিতায় চুড়ান্ত দৌঁড়ে তিনটি নৌকা উত্তীর্ণ হয়। ততক্ষণে নদীর দুই তীর প্রায় দুই কিলোমিটার লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। কামিনীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন নদীর (জুরী নদীর শাখা কন্টিনালা) উপর জুড়ী-ফুলতলা সড়কে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত লোহার সেতুটির তখন ভগ্নদশা। মেরামত কাজ চলছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও মানুষের অবস্থানের ফলে সেতুতে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। তখন বিকেল ৫টা। শুরু হয়েছে চুড়ান্ত দৌঁড়। হঠাৎ করে আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত বিকট শব্দ। চোখের পলকে সেতুটি উধাও। লোকজনসহ হারিয়ে যায় নদীতে পানির নিচে। শুরু হয় আহাজারী, কান্নার রোল। পারে থাকা লোকজন যে যার মত করে নেমে পড়েন উদ্ধার কাজে। নৌকা, কলাগাছ ও বাঁশের ভেলায় করে শিশু, যুবক ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসক ও কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। অনেকেই ছিলেন নিখোঁজ। পরবর্তীতে নদীসহ হাকালুকি হাওরে ভাসমান অবস্থায় কামিনীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আক্কেল আলীর পুত্র সহিদুল ইসলাম ফয়সল (১১), পশ্চিম ভবানীপুরের তমছির আলীর পুত্র ময়না মিয়া (১১), ভোগতেরা গ্রামের মাওলানা চাঁন মিয়ার পুত্র ছালাম মিয়া (২২), ভবানীপুরের ছিটু গাজীর পুত্র তাজুল ইসলাম (১৫) এবং কাপনাপাহাড়ের মখলিছ (২৫) সহ প্রায় দশ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুসহ অগুণিত মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় নি। আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে সেতুর নিচে চাপা পড়া অনেককে উদ্ধার করাও সম্ভব হয় নি।

নৌকাবাইচে সেতু ভাঙ্গার ঘটনাটি তখন আয়োজক ‘রজবের গজব’ নামে মানুষের মুখে মুখে ফিরছিল। আনন্দের নৌকাবাইচটি পরিণত হয় বিষাদে। সেই থেকে আজ ৩৭ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে জুরীনদীতে আর নৌকাবাইচ না হলেও মানুষের মন থেকে সেই ট্রাজেডি এখনও মুছে যায় নি। ভয়াবহ সে দিনক্ষণের কথা মনে হলে আজো লোকজন আঁতকে উঠেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!