আজিজুল ইসলাম :: ‘আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইমু, নৌকা পাইলে নির্বাচন করমু নাইলে নিরব থাকমু।’ সাফ জানিয়ে দিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান এমপি সুলতান মো: মনসুর আহমদ। এইবেলা ‘র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথাগুলো বলেন।
সুলতান মো: মনসুর আহমদ আরও বলেন, আমি লন্ডনে থাকাকালে বালা চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে আরও অনেক কিছু বলেছি। সেগুলো শুনলেই বুঝতে পারবে।
লন্ডনে বিভিন্ন বাংলা চ্যানেলে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা হলেন দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি নমিনেশন দিলে ইলেকশন করমু। না দিলে তাঁর সিদ্ধান্ত মানিয়া নিমু। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমাকে বলা হয়েছিলো স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে কিন্তু আমি তাতে রাজি হই নি।
নৌকার সুলতান খ্যাত এই প্রার্থী বিগত ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যিনি ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেন। সেসময় বিএনপি জোটের শরিক গণফোরামের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। যেটি ছিলো কুলাউড়ার রাজনীতির ইতিহাসে একটি অকল্পনীয় ঘটনা। নির্বাচনকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট চান। মাত্র ২ কোটি টাকার মামলার জন্য একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাগারে আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা নিজ কানে শুনেছেন। এমন অবাক করা বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে মাঠে কাজ করেন। শেষতক তিনি ৭৯ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে সাবেক এমপি এমএম শাহীনকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন।
নির্বাচনের পর তিনি বলতে শুরু করেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেন। তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাননি। আওয়ামী লীগেই আছেন। কোথাকার এক মেজর স্বাধীনতার ঘোষণা কিভাবে করে? এদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধু আদর্শকে মেনে রাজনীতি করতে হবে।#
Leave a Reply