এইবেলা, কুলাউড়া :: দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে যেসব নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণী-পেশার সমর্থক তার পাশে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সাবেক এমপি এমএম শাহীন। আজ থেকে দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার আর সংশ্লিষ্টতা নেই। ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলাউড়ায় নিজ বাসভবনে দ্বাদশ নির্বাচন-পরবর্তী এক ধন্যবাদ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
দ্বাদশ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় কুলাউড়া পৌরসভা ও ১৩ ইউনিয়ন থেকে যেসব নেতাকর্মী-সমর্থক তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন, তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়।
পথভ্রষ্ট শিক্ষকদের কঠোর সমালোচনা করে সাবেক এমপি এমএম শাহীন বলেন, শিক্ষকেরা সমাজের দর্পণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিশারি। কিন্তু একশ্রেণির শিক্ষক তাদের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে কলুষিত করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে শিক্ষকেরা ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। এখনো সেই শিক্ষকদের কাউকে কাছে পেলে শ্রদ্ধায় আমরা মাথা নত করি। তাদের দোয়া আশীর্বাদ নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ের অনেক শিক্ষক টাকার কাছে বিক্রি হয়ে সেই শ্রদ্ধার জায়গাটুকু হারিয়ে ফেলেছেন। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুলাউড়ার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অনেক শিক্ষক যেভাবে নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীকে জয়ী করতে ভূমিকা রেখেছেন, সেটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও গর্হিত অপরাধ।’ এই ন্যায়নীতিহীন ও আদর্শবিবর্জিত শিক্ষকদের কাছ থেকে দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা কী শিখবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন এম এম শাহীন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, দেশের নোংরা রাজনীতি, সন্ত্রাসী-লুটেরা রাজনীতিবিদ আর প্রিসাইডিং অফিসার নামধারী কিছু আদর্শচ্যুত শিক্ষকসমাজের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং দলীয় রাজনীতি থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের কথা জানান। তবে যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নিজের অবস্থান থেকে দেশ ও মানুষের, বিশেষ করে কুলাউড়াবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।#
Leave a Reply