জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছুজ্জামান রানুসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) জুড়ী থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ আটকের ঘটনায় গোটা উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশি অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুজ্জামান রানু ছাড়াও অন্যরা হলেন- ধর্ষণে সহায়তাকারী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের আতর আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪০) ও গৃহকর্মীর মাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বিগত তিন মাস আগে জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রানু মহালদারের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয়। কাজের ফাঁকে গৃহকর্মীর উপর কুদৃষ্টি পড়ে সামছুজ্জামান রানুর। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করার সুযোগ খোঁজতে থাকেন। শেষমেশ গৃহকর্মীর মাকে ম্যানেজ করে গত তিনমাসে একাধিকবার ওই ধর্ষণ করেন সামছুজ্জামান রানু। সর্বশেষ গত ০১ মার্চ ফের ধর্ষণের শিকার হয়। গৃহকর্মী এসব সহ্য করতে না পেরে বাসা থেকে পালিয়ে গত সোমবার থানায় হাজির হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান। ধর্ষিতা ওই গৃহকর্মীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। #
Leave a Reply