আল আমিন আহমদ, জুড়ী :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি চুরির ঘটনায় শাসানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন কারান্তরীণ শামসুজ্জামান রানু’র পরিবার। রোববার দুপুর ১২টায় কামিনীগঞ্জ বাজারস্থ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ভাই সাইফুজ্জামান শ্যামল বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- আমরা জুড়ী উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। আপ্তাব মিয়া মহাজনের পরিবার হিসেবে দেশ জুড়ে আমাদের সুনাম রয়েছে। আমাদের পুরো পরিবার সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মহালদারী ব্যবসা, ইজারাদারী ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসায় আমাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দেশ ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের পরিবারের লোকজন ব্যবসাসহ বিভিন্ন উচ্চতর চাকুরীতে জড়িত রয়েছেন। আমার বড় ভাই শামসুজ্জামান রানুও (৬৫) একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মহালদার নামে তিনি বেশ পরিচিত ও যথেষ্ট সুনামের অধিকারী। তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী তিন মেয়েসহ আমেরিকায় বসবাস করেন এবং মেয়েরা ডাক্তারীসহ উচ্চতর পেশায় নিয়োজিত। দুই ছেলের লেখাপড়ার সুবিধার্থে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সিলেটের বাসায় বসবাস করেন। আমার ভাইও বেশির ভাগ সময় সিলেটে থাকেন। মাঝে মধ্যে বাসায় আসেন। জুড়ীর ব্যবসাসহ সহায় সম্পদ দেখাশোনা করেন। আমিও এই বাসায় বসবাস করি।
আমাদের বাসায় একজন কাজের মহিলা আছেন। তিনি প্রায়ই তাঁর এক মেয়েকে সাথে করে নিয়ে আসেন। ওই মেয়েটি আমাদের বাসার সামনের দোকানের কর্মচারী ও বিভিন্ন লোকের সাথে নানান অপকর্মে লিপ্ত হতো। তাহা দেখে আমার ভাই মহিলা ও তার মেয়েকে শাসাতেন। গত ২৪.১২.২৩ইং ওই মেয়েটি তার প্রেমিক ও দোকান শ্রমিক আব্দুল মান্নান-এর সাথে ঢাকায় পালিয়ে যায়। যাবার সময় বাসা থেকে আমার ভাইয়ের নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পালিয়ে যাবার বিষয়ে মেয়ের মা হাসনা বেগম তার মেয়ে সুমি বেগম ও আব্দুল মান্নানের উপর জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আউয়াল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান।
কয়েকমাস পর মেয়েটি ফিরে এসে আবারও আমাদের বাসায় তার মায়ের কাছে আসে। তাকে দেখে আমার ভাই রাগান্বিত হয়ে তাকে গালিগালাজ করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মানুষের প্ররোচণায় কয়েকদিন পর আমার ভাইয়ের উপর জুড়ী থানায় একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, এর আগে ওই মেয়েটি আমাদের প্রতিবেশি এক বাসায় কাজের সুবাধে বাজারের বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী, দোকান শ্রমিক ও পথচারীদের সাথে অবাধে মেলামেশা করতো। এছাড়া উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামে জনৈক মনু মিয়ার বাড়িতে সে কাজ করতো। তখন ওই বাড়ির প্রতিবেশি এক ভাড়াটিয়ার সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাকে ফাঁসাতে চায়। পরে মনু মিয়া তার মাকে ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন- শামসুজ্জামান রানু একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তিনি পবিত্র হজ্জ্ব পালন করেছেন। নিয়মিত ধর্মকর্ম পালন করেন। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও একজন দাতাও। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। দলের জন্য তিনি শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন। এর পাশাপাশি তিনি নিরবে সমাজের অবহেলিত মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকান্ডে হিংসা পরায়ন হয়ে একটি মহল নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারই অংশ হিসেবে তাদেরই প্ররোচনায় এ মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমার ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।#
Leave a Reply