এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ১৭ বছরের এক যুবতী ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ৩ যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে সৎপিতাসহ ৫ জনকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার বাসিন্দা ও যুবতী কুলাউড়া পৌরশহরের জয়পাশা গ্রামে তার সৎবোনের বাড়ি বেড়াতে আসেন। যুবতীর সৎপিতা ইমরান হোসেন বেড়ানোর কথা বলে মঙ্গলবার রাত ৭টায় শহরের স্টেশন রোডে সোনালী ব্যাংকের নিচে নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি ৩ হাজার ১ শত টাকা নিয়ে কাশেম আলী ও তার অপর ২ সহযোগির সাথে সিএনজি অটোরিক্সায়য় তুলে দেন। সিএনজি অটোরিক্সা করে রাত ১০ টায় কর্মধা ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা মনছড়া গ্রামের জনৈক কাদির মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে কাশেম আলী ও তার ২ সহযোগি মিলে যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বাড়িটি অবরুদ্ধ করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত যুবতীসহ ৩ যুবকে আটক করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ৩যুবকেকে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ১৪ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০ টায় কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসানসহ ফোর্স ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন যুবতীসহ অভিযুক্ত ৩ যুবককে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ কুলাউড়া উপজেলার কুটাগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কাশেম আলী (২৩), গাজীপুর গ্রামের আসকর আলীর ছেলে আরজান আলী (২৪) ও ঝন্টু সুত্রধরের ছেলে রাজেস সুত্র ধর ওরফে পাপ্পু (২১) কে আটক করে। মামলার প্রধান আসামী সৎপিতা ইমরান হোসেন ও অজ্ঞাতনামা সিএনজি অটোরিক্সা চালক পলাতক রয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, ধর্ষণের শিকার যুবতী নিজে বাদী হয়ে তার সৎপিতাকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। যুবতীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এবং আটক ৩ যুবককে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।#
Leave a Reply