জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জুড়ীতে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ লুজু খান এর আক্রমণ থেকে বাচঁতে সংবাদ সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার( ১৫ ই অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের বৃদ্ব মৃত হাছন খান এর পুত্র মোঃ লতিফ খান। তিনি অভিযোগ করে বলেন,একই গ্রামের মৃত মন্তাজ খান এর পুত্র লুজু খান এলাকার কুখ্যাত একজন চাদাঁবাজ। সে প্রায় ৪/৫ মাস আগে থেকে আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। গত ২০১২ সালে স্থানীয় মানিকসিংহ বাজারে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে আমার নিজ মালিকানাধীন জায়গায়( যার দাগ নং ৯৩৩৩) সমিল চালাচ্ছি। অথচ লুজু খান আমার কাছে টাকা দাবি করে বলে টাকা না দিলে আমি সমিল চালাতে পারবো না। এমনকি অনেক বার আমার সমিলের কর্মচারীদের বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করে আসছে। গত ১৮ ই মে ২০২০ইং আমাকে আবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সমিলে কর্মচারীদেরকে কাজ বন্ধ করার হুমকি প্রদান করে। তার ভয়ে আমার সমিলের কর্মচারী দীর্ঘদিন কাজে না আসায় সমিল টি বন্ধ থাকে। ঐ দিন আমি জুড়ী থানায় একখানা অভিযোগ দাখিল করিলে তারা তদন্তের জন্য আদালতে প্রেরণ করেন। গত ১৮ ই জুন আমি জুড়ী থানায় মৌখিক অনুমতিতে আবার সমিল চালু করি। অভিযুক্ত লুজু খান কে চাঁদা না দেয়ায় সে আমার স-মিলের বিরুদ্ধে বন বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হামিদপুর গ্রামের মুরব্বী সোলাইমান খান, ছালেক মিয়া, ইলিয়াছ খান, সমিলের সাবেক কর্মচারী হারিছ আলী,মো মতলিব মিয়া, জামাল মিয়া, গিয়াস মিয়া, সালমান খান প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, লুজু খান একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। সে আগেও তার জন্মদাতা বাবা এবং আপন মামাকে হত্যা করে দীর্ঘদিন জেল খাটে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবার এসব অপকর্ম করে আসছে এলাকায়। তার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কথা বললে সে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। তিনি বলেন, আমি গরীব অসহায় মানুষ। এই সমিল চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছি।আমি ও আমার পরিবার তার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
Leave a Reply